রাশিদ রিয়াজ : [২] তবে ভারতের সীমান্ত এলাকা বা নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন কোনও অঞ্চলে চালু হবে না ইন্টারনেট, সুপ্রিম কোর্টকে বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত যে অঞ্চলগুলিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তীব্রতা কম, সেগুলিতেই ৪ জি পরিষেবা ফের চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার আগামী ২ মাস পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে, একথাও বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। এনডিটিভি
[৩] জম্মু ও কাশ্মীরে হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত রাখা হয়েছে। গত বছরের অগাস্টে যখন কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে তার বিশেষ মর্যাদা রদ করে এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করে তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে ৪ জি পরিষেবা।
[৪] ভারতের কেন্দ্র সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টকে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল জানান, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু কিছু এলাকায় হাই স্পিড ইন্টারনেট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[৫] গত শুক্রবারই শীর্ষ আদালত জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ৪ জি পরিষেবা চালু করা যায় কিনা সেব্যাপারে খতিয়ে দেখতে বলে, তারপরেই এই সিদ্ধান্ত জানায় কেন্দ্র।
[৬] গত বছরের ৫ অগাস্ট, কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ (Article 370) এবং ৩৫ এ ধারা, দুটোই "সাংবিধানিকভাবে দুর্বল" এবং বৈষম্যমূলক ছিল এবং এটি জম্মু ও কাশ্মীরের বিকাশকে বাধা দিয়েছে।
[৭] তারপরেই নিরাপত্তা ও অশান্তি এড়ানোর যুক্তিতে তখন থেকেই সেখানে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা সহ নানা নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আটক করা হয় রাজনৈতিক নেতাদের।
আপনার মতামত লিখুন :