ফারুক আস্তানা : কাউন্সিলর একরামকে যখন ক্রসফায়ার দিয়ে খুন করা হয়। তখন যদি প্রশাসন তদন্ত করে কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নিতো। তাহলে আজকে হয়তো মেজর সিনহা রাশেদ খানকে খুন হতে হতো না। রাষ্ট্রের উচ্চ ক্ষমতা যাদের হাতে। তারা জেগে ঘুমায়। যার ফল প্রশাসন আর সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভক্তি অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে। ভয় আশঙ্কার সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে। মানুষ প্রশাসনকে বিদেশি শত্রু শক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে। সেবামূলক সংস্থাগুলোর ব্যবহার তা ভাবতে জনগণকে বাধ্য করছে। যেটা দেশের জন্যে লজ্জার বিষয়। পুলিশ মানি হয়রানি। ঘুষ দুর্নীতি। পুলিশ থেকে পাবলিক একশোহাত দূরে থাকতে চায়।
একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের পুলিশে কিছু উচ্চ আফিসার এসপি জেলা থানা ওসি এসআইয়ে ব্যবহার শারীরিক ভাষা বেআইনি হবে কেন? মাস্তানদের মতো হবে কেন? তা জবাব কি রাষ্ট্র রাখে? জনতার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। শুধু জামায়াত-বিএনপি না, বিরোধী দল দমন নিপীড়ন মিশন পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে শেষ করে এখন আওয়ামী লীগকে ধরেছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের পঁচিশ ভাগ নেতাকর্মী পুলিশ-সহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সেবা সংস্থার ধারায় অর্থিক শারীরিক মানসিক হয়রানি নির্যাতনের শিকার ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। সময়ের সাথে তা বাড়বে। বাংলাদেশে এমন এক অদ্ভুত রাষ্ট্র ব্যবস্থা দাঁড়িয়েছে। কে কখন কোন দিকে কাকে টার্গেট করে বসে, তার কোনো নিশ্চিয়তা নেই। এখনই যদি এমন পাগল ঘোড়া নামক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন না হলে। জনগণ কতোদিন এভাবে নিরবে মেনে নিবে তাও দেখা ব্যাপার আছে। ফেসবুক থেকে