সুজিৎ নন্দী : [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উত্তরা থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত সড়কে কোনও ট্রাফিক সিগন্যাল থাকবে না। এজন্য এই সড়কটিতে ১১টি ইউলুপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে সড়কটি যাতায়াতে এখন যে সময় লাগে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হলে তার ৭৫ ভাগ সময় বেঁচে যাবে।
[৩] তিনি আরো বলেন, ঢাকার উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যাতায়াতে কয়েকটি মোড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমরা সেই যানজট দূর করার উদ্যোগ নিয়েছি। কোনও ধরনের ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই এই উত্তরা থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত যানবাহন চলবে। মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার কাওলা ইউলুপ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
[৪] মেয়র বলেন, এগুলো যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি উত্তরা থেকে দক্ষিণে নাবিস্কো বা সাত রাস্তা পর্যন্ত যেতে যে সময় ব্যয় হয় তার ৭৫ শতাংশ বাঁচবে। মেয়র জানান, জিওবি ও নিজস্ব তহবিল মিলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগে এর ব্যয় ধরা হয়েছিলো ২৪ কোটি টাকা। এখন এটি হয়েছে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
[৫] এ সময় তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমাদের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এই প্রকল্পটি গ্রহণ করেন। পরে এটি আটকে গিয়েছিল। বলতে গেলে এটা পুরোপুরি ঘুমন্ত অবস্থায় পড়েছিল। আমি গতবার যখন মেয়র হয়েছি তখন আমার একটা কমিটমেন্ট ছিল আনিসুল ভাইয়ের যে কাজগুলো বাকি রয়েছে সেগুলো আমি এগিয়ে নেবো। তার মধ্যে এটি একটি ছিল। পরে আমি দেখতে পেলাম এখানে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের জমি আছে। সড়কে তাদের বাতি আছে। এ কারণে বেশ কিছু বাধা ছিল।
[৬] তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ আরও আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। আমি সবাইকে ডেকে সমন্বয় করেছি। তাদের সঙ্গে মিটিং করতে শুরু করলাম। তাদের জায়গাগুলো আমাদের কিনে নিতে হয়েছে। তখন প্রকল্প ব্যয়ও কিন্তু বেড়েছে।
[৭] মেয়র বলেন, এই সড়কে ১১টি ইউলুপ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এখন ১০টি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- উত্তরা রাজলক্ষ্মী, উত্তরা র্যাব-১ অফিসের সামনে, কাওলা, বনানী ওভারপাসের নিচে, বনানী কবরস্থান ও কাকলী মোডের মাঝখানে, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ী, মহাখালী মোড়, মহাখালী বাস টার্মিনাল, নাবিস্কো মোড় ও বিজি প্রেস অফিস।
[৮] তিনি বলেন, এ বছরের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ১০টি ইউলুপ নির্মাণ শেষ করার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি। আজ আমি কাজের অবস্থা সরেজমিন দেখবো। এই প্রকল্প হবে আমাদের অগ্রাধিকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে জনগণ অনেক সুফল পাবে। আমি মনে করি আমাদের কাজগুলো করতে হবে জনগণের স্বার্থে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ