রাজু চৌধুরী: [২] "লাগজারি বিউটি পার্লার" নাম দিয়ে ঘরের সামনের অংশের একটি রুমে চলে সাজগোজের পার্লার সাজ আর ভিতরে অন্য রুমে চলে যৌনকর্ম। জায়গাটি হচ্ছে চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন ওমেন কলেজ মোড় সংলগ্ন লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল গলি খাজা মঞ্জিল তৃতীয় তলা "লাগজারি বিউটি পার্লার"। ওই ঘরের মালিক রহিমা আক্তার প্রকাশ ডলি (৪৯)।নামে পার্লার হলেও দীর্ঘদিন ধরে এই অসামাজিক কাজ করে আসছিল।
[৩] রোববার (৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রান তালুকদার জানায় , এই পার্লারে কৌশলে একটি শিশুকে যৌন কাজে বাধ্য করায় শিশুটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তিনি বলেন, জিনাত নামের শিশুটি (১৪) নাসিরাবাদ হাউসিং সোসাইটিতে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তাদের পরিবার থাকে। সুমি আক্তার (২৫) নামে একজন স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা মাঝে মধ্যে যৌনকর্মী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় যায়।
[৪] সুমি আক্তারের পরিবারের সাথে জিনাতের পরিবারের অনেক আগে থেকেই গভীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কের সুবাদে জিনাত যৌনকর্মী সুমিদের পরিবারে বেড়াতে আসে। একদিন সুমি আক্তার ( দিনটি ছিলো গত ২৪ জুন) যৌনকার্যে যাওয়ার সময় শিশু জিনাতকে তার সাথে নিয়ে যায়। সুমি আক্তার যৌন কাজের জন্য অন্য রুমে গেলে পার্লারের নামে যৌনকর্ম পরিচালনাকারী ডলি, জিনাতকে সমীর নামক ব্যক্তি সাথে যৌন কাজের প্রস্তাব দেয়।
[৫] জিনাত এতে রাজি না হলেও ডলি ও তার সহযোগী ইয়াসমিন আক্তার মুন্নি (৪০) জোরপূর্বক শিশু জিনাতকে যৌন কাজে বাধ্য করে। এরপর ফুসলিয়ে এবং জোরপূর্বক সুমি পরপর ৫ দিন জিনাতকে সমীর এর বাসায় নিয়ে যায়। একইভাবে ডলি ও সহযোগী মুন্নি জিনাতকে যৌনকার্যে জড়িত করে। সুমির বাসায় জিনাত থাকাকালীন এক সময় ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হলে জিনাত তার বাসায় চলে আসে। প্রথমদিকে জিনাত ভয়ে এবং লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি। পরবর্তীতে বিষয়টি তার বাবাকে বিস্তারিত খুলে বলে।
[৬] খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী বলেন, শিশুটিকে নিয়ে তার পিতা থানায় আসলে অভিযোগ গ্রহণ করে, ঘটনার সত্যতা পেয়ে ঘটনার সহিত জড়িত প্রথমে সুমি আক্তার কে এবং ঘটনাস্থল খাজা মঞ্জিল এর তৃতীয় তলা হতে রহিমা আক্তার ডলি (৪৯) স্বামী মৃত লোকমান ,ঘোড়ামারা শহিদুর রহমানের বাড়ি কুমিরা সীতাকুন্ড চট্টগ্রাম বর্তমানে লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল গেট সংলগ্ন খাজা মঞ্জিল তৃতীয়তলা খুলশী চট্টগ্রাম এবং ইয়াসমিন আক্তার মুন্নি (৪০) স্বামী মাহবুবুল আলম ,ঊনসত্তরপাড়া রাউজান চট্টগ্রাম বর্তমানে আলকরণ ডাক্তার নুরুল ইসলাম সাহেবের ষষ্ঠ তলা বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলা বাসা নং ১১৩ কোতোয়ালী চট্টগ্রাম আটক করা হয়।
[৭] অভিযানকালে ওই ঘরে অসামাজিক কাজ করার সময় মো.শামীম উল করিম (২৮) পিতা শাহজাহান করিম মাস্টার বাড়ি ৫ নং ওয়ার্ড থানা সদর পাবনা এবং রহিমা বেগম ( ৩৫) কে আটক করা হয়। উক্ত ঘরের মালিক রহিমা আক্তার ডলি দীর্ঘদিন যাবৎ অসামাজিক যৌন কাজে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। উক্ত ঘটনায় মানব পাচার আইনে দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে।সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :