তৌহিদুর রহমান :[২] গরুর খামারের জন্য ঘর তৈরিকে কেন্দ্র করে শনিবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মণিপুর বন্দরবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ২৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
[৩] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) সেলিম মিয়ার সঙ্গে একই ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে লিলু মিয়া ও গনু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি লিলু মণিপুর গ্রামের দুলি বাড়ি সংলগ্ন সড়কের পাশে গরুর খামারের জন্য ঘর তৈরি করতে গেলে ইউপি সদস্য সেলিম বাধা দেন। এ নিয়ে সেলিমের সঙ্গে লিলু ও সোহেলের বাদানুবাদ হয়। দুপুরে সড়কের জায়গা দখল করে ঘর তৈরির বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের জন্য উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে সার্ভেয়ার চলে যাওয়ার পর লিলু ও সোহেল তার দলবল নিয়ে মণিপুর বন্দরবাজারে সেলিমের সমর্থকদের কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করেন। এরপর উভয়পক্ষের কয়েকশ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হন।
[৪] বিজয়নগর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) প্রভাত চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে।