লিহান লিমা: [২] শুক্রবার কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ব্ল্যাক বক্স শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে। দ্য হিন্দু
[৩] বোয়িং ৭৩৭ বিমানটিতে দুই পাইলট ও বিমানকর্মীসহ মোট ১৯০ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় দুই পাইলট উইং কমান্ডার দীপক বসন্ত সহ-পাইলট ক্যাপটেন অখিলেশ কুমারসহ মোট ১৮জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
[৪] ভারতের বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ পুরী বলেছেন, অন্যকোনও বিমানবন্দরে নামার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি বিমানটিতে ছিলো। তারপরেও কেন ঝুঁকি নিয়ে এখানেই বিমানটি অবতরণ করল বোঝা যাচ্ছে না।
[৫] ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের (ডিজিসিএ) বলছে, আবহাওয়ার রাডার অনুযায়ী, রানওয়ে ২৮-এ অবতরণের কথা ছিল বিমানটির, কিন্তু দু’বার অবতরণের সমস্যা হওয়ায় পাইলটরা রানওয়ে ১০-এ নামার চেষ্টা করতে গেলে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এনডিটিভি
[৬] সুইডিশ ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, দু’বার নামতে গিয়েও ব্যর্থ হওয়ার পর আকাশে কিছুক্ষণ চক্কর কাটে বিমানটি। আকাশে তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিলো। পাইলট তৃতীয়বার নামার চেষ্টা করতেই বিমানটি পিছলে ৩৫ ফুট গভীর খাদে গিয়ে পড়ে দু’টুকরো হয়ে যায়।
[৭] এয়ার সেফটি বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রানওয়ের শেষে গভীর খাদ রয়েছে। বিপদের সম্ভাবনা নিয়ে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সবকিছু এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বিমান ওঠানামা বন্ধ হয় নি, উপরুন্তু, বিমানবন্দরটিকে নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি দূর্ঘটনা নয়, স্পষ্টতই হত্যা।’ হিন্দুস্তান টাইমস
[৮] ইন্ডিগো বিমানের পাইটল আনন্দ মোহন রাজ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘বিমানবন্দরে আলোর ব্যবস্থা খুবই খারাপ। ব্রেকিং কনডিশনে নিয়মিত নজরদারি করা হয় না। রাতে বা ঝড়-বৃষ্টিতে টেবিলটপ বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করানো পাইলটদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। কোঝিকোড়ে টেবিলটপ বিমানবন্দরের রানওয়ে নিয়ে সমস্যার কথা এর আগে একাধিকবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল।’ সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :