সাজিয়া আক্তার : [২] জামালপুরের ইসলামপুর রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে কলোবাজারে। আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি টিকিটের মূল্য ২২৫ টাকা হলেও তা ১২শ থেকে ১৫শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। উপায় না দেখে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা চড়া দামে এসব টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলা ট্রিবিউন
[৩] শুক্রবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ইসলামপুর বাজার রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে জানা যায়, গন্তব্যের উদ্দেশে প্লাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন হাজারও যাত্রী। অধিকাংশ যাত্রীদের কাছে ট্রেনের টিকিট নেই। যাদের কাছে রয়েছে, তারাও কিনেছেন চড়া দামে।
[৪] করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রেল পথের জন্য দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ইসলামপুর বাজার স্টেশনে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪৯টি আসনের মধ্যে শোভন চেয়ার ৩০টি প্রতিটি টিকিটের মূল্যে ২২৫ টাকা, এসি চেয়ার ১৫টি প্রতিটি টিকিটের মূল্যে ৪২৬ টাকা এবং ৪টি কেবিন রয়েছে যার প্রতিটির মূল্যে ৫১২ টাকা ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন রয়েছে শোভন ৬০টি যার প্রতিটির মূল্যে ১৮৫ টাকা ও শোভন চেয়ার রয়েছে ৭টি যার প্রতিটি মূল্যে ২২৫ টাকা।
[৫] রেলের টিকিট অনলাইনে ওপেন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে খবর পাচ্ছে কালোবাজারিরা। এত করে টিকিট আগে থেকেই প্রতিদিন মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কেটে নিচ্ছে তারা। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারসাজিতে অতিরিক্ত দামে এসব টিকিট চড়া দামে বিক্রি করছে। প্রভাবশালী হওয়ায় কালোবাজারিদের নাম বলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ।