মিনহাজুল আবেদীন : [২] রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের একটি টিম। বাংলানিউজ
[৩] গ্রেফতারকৃতরা হলেন মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা মো. মনির হাওলাদার ওরফে মনির হোসেন (২৬) ও এবং তার সহযোগী মো. সেলিম ওরফে সেলিম শিকদার (৩৫)। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাগোনিউজ
[৪] তিনি বলেন, ৬ জুন রাজধানীর মতিঝিল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ২৭ জনের নামে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসমি ছিলেন মো. সেলিম শিকদার এবং ২ নম্বরে মো. মনির হাওলাদারের নাম রয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত দুইজনের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
[৫] গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের মুলহোতা সেলিম ও তার সহযোগী মনির শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফেনী, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা সহজ-সরল মানুষদের টার্গেট করতো। এরপর বেশি বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে লিবিয়ায় যেতে উৎসাহ যোগাতো। পাসপোর্ট ও ছবিসহ আগ্রহীদের ঢাকা থাকা চক্রের অন্য সদস্য শরীফ ও কবিরের কাছে পাঠিয়ে দিত। অবৈধ পথে পাচার করা মানুষের স্বজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে তারা দুইজন টাকা সংগ্রহ করতো। এই টাকার একটি অংশ বাংলাদেশে অবস্থানরত মনিরের স্ত্রী শ্বশুর কিংবা বাবার কাছে দিতো। আরও একটি অংশ চক্রের দালাল শরীফ ও কবিরের কাছে পাঠাতো। আর এই কাজের জন্য সেলিম সবার কাছ থেকেই কমিশন নিতো। বাংলাট্রিবিউন
[৬] তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আসামি মনির হাওলাদার ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও সে অনেক চতুর প্রকৃতির। অল্প সময়ের মধ্যেই সে লিবিয়ার সেনাবাহিনী ও লোকাল পুলিশের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ গড়ে তোলে। এই যোগাযোগের মাধ্যমেই মনির লিবিয়ার বেনগাজির মাঝুরী, ত্রিপোলীর সুলেমান এবং জোয়ারার গেইমিং ক্যাম্প পরিচালনা করে আসছিল। প্রিয়.কম