দেবদুলাল মুন্না: [২] আজ বাইশে শ্রাবণ। বাঙালির প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস। কিন্তু তার মধ্যেও আত্মহননের প্রবণতা ছিল। পাক্ষিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক রঞ্জন বন্দোপাধ্যায় ইউটিউব চ্যানেল গ্লোবাল লিটারেচার’কে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে এসব তথ্য জানান। তিনি এ সংক্রান্ত কিছু চিঠি উদ্ধার করেছেন। যে চিঠিগুলো রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন তার ছেলে রথীন্দ্রকে।
[৩] ১৯১৪ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতন থেকে রথীন্দ্রনাথকে এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেন, ইউনানি ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে তাঁর শারীরিক সমস্যা দূর হলেও কিছু মানসিক উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ‘মেটিরিয়া মেডিকা’ পড়ে নিজের সেই সব উপসর্গ চিহ্নিত করলেন রবীন্দ্রনাথ। অবসাদ, মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা, কান্নার তাগিদ, হতাশা, আত্মহত্যার প্রবণতা, আক্রোশ ইত্যাদি। রথীকে লিখলেন, ‘‘দিনরাত্রি মরবার কথা এবং মরবার ইচ্ছা আমাকে তাড়না করেছে. মনে হয়েছে আমার দ্বারা কিছুই হয়নি এবং হবেনা। আমার জীবনটা যেন আগাগোড়া ব্যর্থ...।’’
[৪] কাদম্বরী মারা যাওয়ার কিছু দিন পর ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, যার নাম দিয়েছিলেন ‘আত্মা’। এ লেখায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আত্মহত্যার চেষ্টা দুবার করেছিলুম। জীবনের জটিলতায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলুম।’
[৫] রঞ্জন বন্দোপাধ্যায় জানান, রবীন্দ্রনাথ আত্মহত্যাকে ‘আত্মবিসর্জন’ বলতেন। বৌঠান কাদম্বরী দেবী ও নিজ মেয়ের আত্মহত্যা কবির মনে প্রভাব ফেলেছিল।এছাড়া স্ত্রী মৃনালিনী দেবী ও পুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর তিনি গভীর অবসাদে ভুগতেন।