মো. আখতারুজ্জামান : [২] পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাসেম ড্রাইসেলস লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজি এবং কাট্টলী টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের আইপিও'র মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যবহারে অনিয়মের কারণে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
[৩] বুধবার বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
[৪] বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে কাসেম ড্রাইসেলসের শেয়ার দর ৬৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৩১ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত অর্থাৎ ৮৯ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়।
[৫] অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে কাসেম ড্রাইসেলসের শেয়ার দর বাড়ানোর মাধ্যমে মুনাফা করে আইন লঙ্ঘন করা হয়। আর এ আইন লঙ্ঘনের কারণে নারায়ণ চন্দ্র পাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে ৩ কোটি, সোলায়মান রুবেল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে ১০ লাখ, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে দেড় কোটি এবং মো. মাহমুদুজ্জামান ও মো. মাহিবুল ইসলামকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
[৬] এদিকে ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাট্টলী টেক্সটাইল আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের যথাযথ ব্যবহার না করে এবং কমিশনে দাখিল করা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আইপিওর অর্থ ব্যবহার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে। পাশাপাশি কোম্পানিটি এ-সংক্রান্ত জাল ব্যাংক বিবরণী দাখিল করে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
[৭] এ কারণে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১ কোটি টাকা ও অন্যসব পরিচালককে৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
[৮] বুধবার কমিশন সভায় অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের আইপিও অনুমোদন করা হয়েছে। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে দেড় কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
[৯] উত্তোলিত অর্থ নতুন মজুদ ছাউনি ও নতুন প্লান্ট শেড নির্মাণ, নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার খাতে ব্যয় করা হবে। কোম্পানিটির ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের হিসাব অনুসারে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা।আর পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৭ টাকা ৩৭ পয়সা।কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বিডি ফিন্যান্স ক্যাপিটাল হোল্ডিংস লিমিটেড।
আপনার মতামত লিখুন :