সিরাজুল ইসলাম : [২] উইলহেমসেভেন বন্দর থেকে মঙ্গলবার যুদ্ধ জাহাজ হামবার্গ পাঁচ মাসের জন্য লিবিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। আলজাজিরা
[৩] আগামী ডিসেম্বরে তারা দেশে ফিরবেন। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এই পাঁচ মাস তাদের স্থলে পা ফেলা নিষেধ। ইউরোপিয় ইউনিয়নের ইরিনি মিশন শুরু হয় মে মাসে। তারা লিবিয়া থেকে বিদেশে তেল পাচার এবং জনজীবন ব্যাহত হওয়া প্রতিহত করবেন। স্যাটেলাইট ও উড়োহাজাজ থেকেও অস্ত্র প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
[৪] জাহাজটির কমান্ডার জন ফিৎচেন বলেন, তারা একটা অজানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে চলেছেন। তারা এমন একটা জায়গায় যাচ্ছেন, কঠিন রাজনীতিক অবস্থা চলছে। বিভিন্ন দল সক্রিয় রয়েছে।
[৫] তুরস্ক, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অস্ত্র সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা ভাঙছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ বছরের শাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয় ২০১১ সালে। এরপর থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে লিবিয়ায়।
[৬] প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ সেরাজকে সমর্থন করে তুরস্ক। অন্যদিকে সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতারের পেছনে রয়েছে কয়েকটি মিলিশিয়া বাহিনী। তাকে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। আঙ্কারা অভিযোগ করেছিলো- হাফতারকে অস্ত্র সরবরাহ করছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা যুক্তি দিয়েছিলো- ইইউ’র অপারেশন ইরিনি অসতর্কভাবে সেরাজকে টার্গেট করেছে।
[৬] আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লিবিয়ায় সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে সর্বশেষ জানুয়ারিতে বার্লিনে বৈঠক হয়। সম্প্রতি জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি জাতিসংঘকে অস্ত্র প্রবাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয়। ৯ বছরে এ নিষেধাজ্ঞা বহুবার ভাঙ্গা হয়েছে।