লাইজুল ইসলাম : [২] সকালে বাংলামোটর, কলাবাগান, পুরান ঢাকা, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোরবানি করেছেন। প্রথম দিনের তুলনায় কম হলেও অনেকেই দ্বিতীয় দিন বেছে নেন তারা। এদিকে, প্রত্যেকটি এলাকাতেই দেখা গেছে ঈদের মাংসের জন্য ভীড় জমিয়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন।
[৩] কাঠালবাগানের বাসিন্দা রসি জানান, প্রতি বছরের মত এবারও তারা দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিয়েছেন। প্রথম দিনে কিছু সমস্যা থাকে। প্রথম সমস্যা হলো কসাই না পাওয়া। তাই দ্বিতীয় দিনে কোরবানি। এছাড়া গরিব-দুস্থ্য মানুষের মধ্যে কোরবানির গোস্ত বিতরণেও সুবিধা হয়।
[৪] বাংলামটরে বাসিন্দা শাজাহান বলেন, পারিবারিকভাবেই আমরা দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিচ্ছি। এই ঐতিহ্য ১০০ বছরের বেশি। বাপ-দাদারা দ্বিতীয় দিনেই কোরবানি দিয়েছেন। কোরবানির পর নিজেদের বাসার সামনের সব কিছু নিজেরাই পরিস্কার করবো বলে জানান তিনি।
[৫] মগবাজারের মধুবাগ বস্তিতে থাকেন রাহেলা বেগম। গোস্ত সংগ্রহে বেড়িয়েছেন তিনি। প্রথম দিনের চাইতে দ্বিতীয় দিনে গোস্ত পাওয়া যায় কম। এদিন রাস্তায় গোস্ত সংগ্রহে লোকজন বেশি থাকে। এগুলো নিয়ে বিক্রি করলে কিছু টাকাও পাওয়া যায়। যা দিয়ে অন্তত কয়েকটা দিন খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যায়।
[৬] এদিকে, রাস্তা-ঘাটে নেই তেমন যানবাহন। প্রাইভেট কিছু গাড়ি থাকলেও সাধারণ মানুষের জন্য গণপরিবহন ছিলো না বললেই চলে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব