তপু সরকার : [২] বৃহস্প্রতিবার (৩০ জুলাই ) রাত্র থেকে শুরু আজ বিকেল পেরিয়ে গেলেও বাস টার্মিনালে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
[৩] কর্মব্যস্ত শহর রাজধানী থেকে কিছু দিনের জন্য হলেও প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে চিরচেনা সেই নিজ বাড়িতে ছুটে আসছেন কর্মজীবীরা। তবে এবার উওর অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা-ঘাট খানা খন্দ না থাকার কারণে সড়ক পথে কষ্ট কম পোহাতে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষের। ঈদুল আজাহ্ প্রতিদিন বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার মানুষ।
[৪] উপচে পড়া যাত্রী নিয়ে ঢাকার মহাখালী,ষ্টেডিয়াম ও বিভিন্ন এলাকা থেকে উওরঅঞ্চলের পথে ছেড়ে আসছে একটির পর একটি বাস,ট্রাক,পিকাপভ্যান। যত কষ্টই হোক না কেন গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপনে উদগ্রীব মানুষগুলো ছুটে আসছেন নিজ গন্তব্যে।
[৫] শুক্রবার শেরপুরের থানা মোড়ে দেখা যায় শত শত মানুষের ভিড়। ঈদ আসলেই আনন্দযাত্রা ভোগান্তি দিয়েই শুরু হয় মানুষের। যারা বাসে চড়েন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের আটকে থাকতে হয় মহাসড়কে। শেরপুরের থানা মোড়ে সোনালী এক্সপ্রেস নামে গাড়ীর যাত্রীকে ভাড়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই বলেন বলে উঠেন আমাদের কাছ থেকে ঢাকা থেকে শেরপুরে পৌছে দেবে বলে ১ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছে । এবং ২সিটে ৩ জন কে বসিয়ে নেয়া হচ্ছে ।
[৬] বাস টার্মিনালে দেখা যায়, প্রশাসন যাত্রীদের হয়রানি না করার জন্য বারবার মাইকিং করা স্বতেও বাস থেকে যাত্রীরা নামার সঙ্গে সঙ্গেই সি এন জি ও আটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন, অটোরিকশার চালকরা যাত্রীদের লাগেজ ধরে টানাটানি করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।
[৭] যাত্রীদের অভিযোগ আসন্ন ঈদকে জিম্মি করে আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছে অনেক বেশি। কি আর করবো পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার জন্যই বাড়ি আসা। ঢাকা থেকে শেরপুরে আসা ৯০০ টাকা ভাড়ায় আসা গার্মেন্টস শ্রমিক সাইদুর হোসেন বলেন, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে খুশির দিনটি উপভোগ করতে ব্যস্ততার মধ্যে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে আমার মতো হাজার হাজার কর্মজীবী।
[৮] অন্যদিকে আগামীকাল শনিবার এক বেলা অফিস করেই সরকারি ছুটি তাই নগর ছাড়ছে অনেক কর্মজীবী মানুষ। ঢাকা ছেড়ে গন্তব্য স্থানে ছুটে যেতে দেখা যায় সরকারি-বেসকারি চাকরিজীবীদের।
গত কয়েকদিন ধরে নানাভাবে বাড়ির পথে যেতে শুরু করেছেন, ঢাকা, গাজীপুর, বা নারায়ণগঞ্জ অসংখ্য উওর অঞ্চলের বাসিন্দা।
[৯] শেরপুরের থানা মোড়ের একজন যাত্রী পথ চারী রেজাউল করিম বলেন, বাসায় মেয়েরা দুইমাস ধরে ঘরে আটকে থেকে বিরক্ত হয়ে গেছে। তাই সরকার যখন প্রাইভেট কার চলাচলের অনুমতি দিয়েছে, তাই আমরা একটা গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি এসেছি।
[১০} এর ফলে সংক্রমণের বা করোনাভাইরাস বিস্তারের ঝুঁকির তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলছেন, ''আমরা তো বাসা থেকে বের হচ্ছি না, কারো সঙ্গে মেলামেশা করছি না। আশা করি সেরকম কোন ঝুঁকি হবে না। আসলে যার যার নিরাপত্তা তো তার তার কাছে।'' সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ