মো. আখতারুজ্জামান : [২] বিজনেস ইনিশিয়েটিভ ফর লিডিং ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপার্সন আবুল কাসেম খান বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমরা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আঙ্কাটার্ড রিপোর্টে বিশ্ব বাণিজ্য ২.৬ থেকে ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাস পাওয়ার প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ৯ থেকে ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত চাহিদা কমে যাবে, এর ফলে আমাদের রপ্তানি খাতে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে।
[৪] আবুল কাসেম বলেন, দ্রুততম সময়ে প্রণোদনার টাকা উদ্যোক্তাদের হাতে পৌঁছাতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের টিকে থাকার জন্য ব্যবসা পরিচলনার সকল সূচকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য উন্নতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। যদি আমরা করতে ব্যর্থ হলে, কোভিড পরিবর্তী সময়ের বাণিজ্য সুবিধা অর্জনে আমরা ব্যর্থ হবো।
[৬] আবুল কাসেম খান বলেন, চীন সম্প্রতি বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে, যেটা আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ এবং এটাকে আমাদের কাজে লাগতে হবে। তিনি বলেন, দেশের ওয়ারহাউজ এবং লজিস্টিক খাত কে ‘থ্রাষ্ট সেক্টর’ হিসেবে ঘোষণারও প্রস্তাব করেন।
[৭] শনিবার রিসারজেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত এক ওয়েবিনার তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :