সুজিৎ নন্দী: [২] প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, জলাবদ্ধতার দায়ভার ঢাকা ওয়াসার একার না। ২০১২ সালে বলেছিলাম ঢাকা ওয়াসার কর্মকাণ্ডের সাথে এটা সম্পর্কিত না। ওয়াটার এন্ড স্যুয়ারেজ সাথে পানি নিষ্কাশন সম্পৃক্ত না বিধায় এইটা সাত হাতে আছে এক হাতে হওয়া দরকার এবং অবশ্যই সিটি অথরিটির কাছে যাওয়া উচিত। ২০১২ সাল থেকে এটা নিয়ে অনেক কাজ হয়ে আসছে, অনেকগুলো কমিটিও আছে কাজ করছে।
[৩] মেয়রদের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বলেন, অত্যন্ত ভাল, আমরা খুশি আজ ২০২০ সালে এসে ২০১২ সালের সিদ্ধান্তটাকে আমরা বাস্তবায়ন করতে পাচ্ছি। এই কাজ ওয়াসার না, এটা মূলত সিটি করপোরেশনের কাজ, সহযোগিতা সবাই করবে, ওয়াসাও করবে। কাজেই ৮ বছর পর তখনকার সিদ্ধান্ত এখন বাস্তবায় হবে। এটা ভাল। সিটি করপোরেশনের কাছে থাকলে ভাল হবে।
[৪] বাংলাদেশের করোনা মোকাবেলায় পানি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ ও ঢাকা ওয়াসার ভ‚মিকা নিয়ে ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা একথা বলেন। আলোচনা করেন, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অ্যামিরেটাস অধ্যাপক প্রকৌশলী ড এম ফিরোজ আহমেদ, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রিডিরেক্টর প্রকৌশলী হাসিন জাহান।
[৫] প্রকৌশলী ড এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কোনো আলাদা ফান্ড নাই। যে জন্য কোন সংস্থা দায় নিতে চায় না। প্রথমে ছিল এটা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাতে যা পরে ওয়াসার হাতে চলে যায়। আসলে আলাদা ফান্ড না থাকায় কেউ এর দায় নিতে চায় না। ওয়াসার অন্য খাত থেকে টাকা এনে এখানে ব্যয় করত যেহেতু এখানে কোন রাজস্ব পায় না তাই ওয়াসা কাজ করতে আগ্রহী না। এখন সিটি করোপেরেশন কাছে গেলে কি হবে সেটা পরের কথা। সেখানে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আয় বের করে কাজ করতে হবে। এর সফল বাস্তবায়ন করতে হলে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দিতে হবে। তাদের সঠিক তত্ত¡বধানে থাকতে হবে।
[৬] ভারি বৃষ্টি হলেই রাজনীতিতে জলাবদ্ধতা প্রকোট আকার ধারণ করে। আর চারদিকে শুরু হয় সমালোচনা ঝড়। এক সংস্থা আর এক সংস্থার ওপর দায় চাপাতে ব্যস্ত। তবে স¤প্রতি ঢাকা ওয়াসার কাজে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ঢাকার দুই মেয়র খালের দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। সেই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ