দেবদুলাল মুন্না: [২] দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার এ মামলা আবার চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দেশটির রাজনৈতিক পত্রিকা পলিটিকো শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
[৩] প্রতিবেদনে বলা হয় , প্রায় ১৫ বছর আগে নিষ্পত্তি হওয়া এই মামলা এখন আবার চালু করে রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। গত জুন মাসে উইলিয়াম বার আলোচিত এই মামলাটি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৭ জুন অ্যাটর্নি জেনারেল বার ‘বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিল’কে রাশেদের মামলাটি তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়, উইলিয়াম বার প্রথমেই রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুমতি বাতিল করতে চাইবেন। তাতে সফল হলে শুরু হবে ফেরতের প্রক্রিয়া।
[৫] রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডের হাউট পলিটিকোকে বলেন, অনেক আগে শেষ হওয়া একটি মামলা নিয়ে কেন এমন করা হচ্ছে সেটিই আমাদের কাছে প্রশ্ন।
[৬] ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পরে ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্য আসামিদের সঙ্গে পলাতক অবস্থায় তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের রায় কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ বিদেশে পলাতক অন্যদের দণ্ড কার্যকর হয়নি।