সুজন কৈরী : [২] পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার মঙ্গলবার জানান, ২০ জুলাই বিকেলে ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ফোন করে জানান, তিনি একজন ট্রাক হেল্পার। তিনি ব্রিজের ওপর চলন্ত ট্রাক থেকে দেখতে পান যমুনা নদীর মাঝখানে ব্রিজের নিচের দিকে ছয়-সাত জন লোক বস্তা ধরে ভাসছেন। তারা চিৎকার করে তাদের উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করছিলেন। নদীতে তীব্র শ্রোত আর ঢেউয়ে তারা বারবার পানিতে ডুবে যাচ্ছিলেন আবার ভেসে উঠছিলেন। তিনি ৯৯৯ এর কাছে তাদের দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।
[৩] ৯৯৯ তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ পশ্চিম নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। এরপর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
[৪] পরে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মান্নান ৯৯৯-কে জানান, তারা ছয় জন নৌকা আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় ঝুঁকি ছিল। তবে সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে হয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
[৫] নৌকা আরোহীদের একজন সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা আল আমিন জানান, তারা ছয় জন নৌকা নিয়ে সিরাজগঞ্জের বড়টিয়া চরে গিয়েছিলেন গরুর ঘাস কাটতে। ঘাস কেটে ফেরার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তীব্র শ্রোতের তোড়ে ও প্রবল ঢেউয়ে তাদের নৌকাটি বঙ্গবন্ধু সেতুর ৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। তারা ঘাসের বস্তা ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছিলেন।