রাজু চৌধুরী : [২] এতে মারুফের আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে কমিটি। সেকারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে নিজের অধীনস্ত অফিসারকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ দাশকে শোকজ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
[৩] সোমবার বিকেল ৫ টার পর সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমানকে ১৬ পৃষ্টার এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। কমিটির প্রধান নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদের সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির অন্য দুই সদস্য ডবলমুরিং জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) শ্রীমা চাকমা ও নগর পুলিশের সিএসবি শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) নুরুল আফসার ভূইয়া।
[৪] তবে সিএমপির একটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তসহ মোট ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ঘটনার দিন এসআই হেলাল খান থানার ওসিকে অবগত না করে সেখানে বেআইনিভাবে অভিযানে যাওয়ার সত্যতা মিলেছে। এছাড়া তিনি পুলিশি পোশাকেও ছিলেন নাহ। সেকারণে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযানের সময় অন্য দুইজন রাজীব ও সবুজের নাম শুনা গেলেও তদন্ত কমিটি তাদের বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ পায়নি।
[৫] এছাড়া নিজের অধীনস্ত অফিসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এর লিখিত জবাব দিতে শোকজ করা হচ্ছে ডবলমুরিংয়ের ওসি সদীপ দাশকে। জবাবের ওপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ১৬ পৃষ্টার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে পুলিশের যত আইন কানুন মেনে দায়িত্ব পালন করার কথা তা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :