সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু: মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, দৌলতপুর, শিবালয়, ঘিওর উপজেলা প্রবলভাবেই বন্যাক্রান্ত। হয়তো দু’একদিনের মধ্যে সদর, সাটুরিয়া এবং কদিন পর সিংগাইর উপজেলাও প্লাবিত হবে। ভীষণ দুঃসময়ের কাল এই বন্যা। যাদের অভিজ্ঞতা নেই। তারা এর বহুমাত্রিক বিপদ, বিপর্যয় বুঝবেন না কোনভাবেই। ঠিক এই সময় বন্যার পানি হয়, আপনার বাড়ির উঠানে, নয়তো ঘরে, অথবা আর দু-দশ ইঞ্চি বাড়লেই উঠানে বা ঘরে হানা দেবে। অবস্থা যাই হোক। এমতাবস্থায় কটি বিষয়ে সার্বক্ষণিক সতর্কতা জরুরি।
[১] আপনার বাড়ির হাঁটতে শিখেছে, খেলতে শিখেছে, এমন শিশুটির দিকে সবসময় নজর রাখুন, পানি তার কাছে আনন্দের নতুন মাত্রা। পানির প্রতি তার, বাড়তি আগ্রহ জাগবেই। লক্ষ্য রাখবেন সে যেন, আপনার কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে একা একা পানির কাছে না যায়। কারণ সে বিপদের মাত্রাটা বোঝে না, সাঁতার জানে না। বড় যে শিশুটি, সাঁতার জানে না, বয়স ১০ থেকে ১৫ যাই হোক। তাকে পানির বিপদ বুঝিয়ে বলুন, নজর রাখুন তার প্রতি।
[২] বিষধর সাপ। বন্যার পানির সাথে জীবন বাঁচাতে আপনার ঘরে, বাড়ির শুকনো উঁচু স্থানে এরা আশ্রয় নেয়। স্বাভাবিক সময়ের মতো চেনা জায়গায়, হাড়ি পাতিলে, স্তুপ করে রাখা জিনিসপত্রের গাঁদায়, এমনকি দরজার পাল্লাটির আড়ালে হাত দেবার, পা ফেলবার আগে দেখে নিন। সুযোগ থাকলে মশারি টাঙিয়ে, সেটা তোষকের নীচে ভালভাবে গুঁজে নিয়ে তারপর ঘুমান। সম্ভব হলে রাতে ঘর, উঠানের বাতি জ্বালিয়ে রাখুন। হাতের কাছে লাঠি জাতীয় জিনিস রাখুন। কম্পনের সৃষ্টি হয় এমন করে লাঠির আঘাতে মাঝে মাঝে শব্দ করুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পানি ভেঙে, পায়ে হেঁটে এদিক সেদিক যাবেন না।
[৩] কষ্ট করে হলেও ফুটানো নয়তো জেগে আছে এমন টিউবওয়েলের পানি পান করুন। সম্ভব হলে গ্লাস, থালা-বাসন টিউবওয়েলের পানিতে ধুবেন, পারতপক্ষে বন্যার পানিতে ধুবেন না। [৪] বিদ্যুৎ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন, পানিতে পরে থাকা ছেঁড়া তার, পরে যাওয়া খুঁটি এড়িয়ে চলুন। বিদ্যুৎ অফিসে খবর দিন। [৫] সম্ভব হলে পঁচা,বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন। মনে রাখুন বন্যা, করোনার মতো নয়। বন্যার এই বিপদ অল্পসময়ের, ৭ থেকে ১০ দিনের। এই অল্প কটা দিন সতর্ক থাকুন। ফেসবুক থেকে