মুরাদ হাসান : [২] কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার দু’লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। গবাদি পশুর খাবারের সংকটে পড়েছে বন্যাদুর্গতরা।
[৩] দ্বিতীয় দফা বন্যায় গাইবান্ধায় এক লাখ ২২ হাজার ৩২০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি বাড়ায় জেলা শহরের ডেভিড কোম্পানিপাড়া এলাকায় শহররক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
[৪] পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। কামারখাড়া মুন্সীবাড়ী পয়েন্টে দুই সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশ বিলীন হয়ে গেছে।
[৫] মানিকগঞ্জে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হছে পদ্মা-যমুনা নদীর পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার কয়েক হাজার বাসিন্দা ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। জেলা সদর, ঘিওর ও সাটুরিয়া উপজেলায় ফসলি জমিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
[৬] পদ্মা, মধুমতী ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাড়াও সদরপুর ও চরভদ্রাসন, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এই চারটি উপজেলার ৩৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য ও বিশুদ্ধ খবার পানির সংকট। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :