সোহেল হোসাইন: [২] রাজধানী ঢাকা থেকে গার্মেন্টস সামগ্রীর মালামাল নিয়ে বেনাপোলেও উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ট্রাক চালক বাবুল হোসেন(৫৫)। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় এসে ট্রাক নিয়ে আটকে যান তিনি। খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে গাড়ির চাপ রয়েছে।
[৩] আর তাই উথুলী এলাকাতেই অপেক্ষা করতে হবে। উথুলীতেই রাত্রী যাপনের পরে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ট্রাক-টার্মিনালে পৌঁছান। রাতেই তিনি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ পারাপারের কাঙ্খিত টিকিট পান তিনি। তবে শুক্রবার দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ট্রাক চালক বাবুল ফেরিতে উঠতে পারেননি।
[৪] সরেজমিনে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। একই অবস্থা নদী পারের অপেক্ষায় থাকায় প্রায় সাত শতাধিক ট্রাক চালকদের। সিরাজুল নামের আরেক ট্রাক চালক বলেন, টাইলস নিয়ে মাওনা থেকে রওয়ানা হয়ে বুধবার ভোরে উথুলীতে আটকে যান। ভালো মানের কোনো খাবার
হোটেল না থাকায় বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে তাঁকে। পরে বৃহস্পতিবার টিকিট পেলেও এখনো ফেরির দেখা পাননি বলে জানান তিনি।
[৫] পাটুরিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় আলাপকালে আরো কয়েকেজন ট্রাক চালক বলেন, ফেরিঘাটে কোনো দুর্যোগ হলেই ট্রাক চালকদের বিপাকে পড়তে হয়। অথচ ট্রাক টার্মিনালে গোসল, বাথরুম ও খাবার বেশ ব্যয়বহুল। আবার ট্রাক রেখে চোঁখের আড়াল হলে গাড়ির ব্যাটারি বা পণ্য চুরি যাওয়ার ভয়ও আছে। পদ্মা সেতু সম্পূন না হওয়া পর্যন্ত ট্রাক চালকদের ভোগান্তি লাঘবের কোনো সুযোগ নেই।
[৬] তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পূন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আটকে পরা এসব ট্রাক চালকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি’র ডিজিএম জিল্লুর রহমান আমাদের সময়.কম-কে জানান, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে প্রায় ৯শতাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষমাণ। এরমধ্যে অপেক্ষমাণ ট্রাকের সংখ্যাই প্রায় ৭০০। নদীতে তীব্র স্রোত আর ফেরি সংকটের কারণে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ভোগান্তি বাড়ছে।