রায়হান রাজীব : [২] বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আলী আসগর দীর্ঘদিন ধরে মস্তিষ্কজনিত রোগে ভুগছিলেন। আজ ভোরে হার্ট অ্যাটাক হয় তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
[৩] আলী আসগর ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং ১৯৬২ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭০ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিকস ও বায়ামেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন তিনি। একসময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
[৪] খেলাঘরের সাবেক এই সভাপতি পদার্থবিজ্ঞান সমিতিরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির অন্যতম প্রধান ছিলেন। বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলো এবং বাংলাদেশ জার্নাল অব ফিজিকসের চিফ এডিটর ছিলেন তিনি।
[৫] বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিক্ষা বিষয়ে তাঁর কয়েকশ প্রবন্ধ ও ২০টির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে। জমাট পদার্থ, চৌম্বক বস্তু, মেডিকেল ফিজিকস ও বায়ো ম্যাগনেটিজম তাঁর গবেষণার বিষয়। সর্বস্তরে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতে লিখেছেন সময় প্রসঙ্গে, ভাষা ও বিজ্ঞান, বিজ্ঞান প্রতিদিন, বিজ্ঞানের বিচিত্র জগৎ থেকে, বিজ্ঞানের মজার প্রজেক্ট, বিজ্ঞান ও সমাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের পথে, পরিবেশ ও বিজ্ঞান, বিজ্ঞানের দিগন্তে, বিজ্ঞান আন্দোলন।
[৬] গবেষণা-ল্যাবরেটরি ও বিজ্ঞান ক্লাব গড়ে তোলার পাশাপাশি কাজ করেছেন বিজ্ঞানমনস্কতা ও বিজ্ঞানচর্চার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে। বিজ্ঞানে অবদানের জন্য ড. মনিরুজ্জামান স্বর্ণপদক, বিজ্ঞানবিষয়ক লেখালেখির জন্য ড. কুদরত-ই-খুদা স্বর্ণপদক, দেশে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণপদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে মার্কেন্টাইল ব্যাংক স্বর্ণপদক পেয়েছেন তিনি।