শ্রীনগর প্রতিনিধি : [২] শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া গরুর হাটের ইজারায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির গঠিত সিন্ডিকেটের কারনে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সিন্ডিকেটের সুবিধা নিতে বিএনপি নেতাদের দেয়া হয়েছে সব চেয়ে বড় ভাগ। বাদ পড়েননি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা নেতাও।
[৩] গত বুধবার বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সিন্ডিকেটে ভাগাভাগির পর তারা ক্রয়কৃত ২০টি সিডিউলের বিপরীতে বৃহস্পতিবার ৩টি সিডিউল ড্রপ করে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় হাটের ডাক পান। গত বছর কোনো সিন্ডিকেট না থাকায় হাটের ডাক উঠেছিলো ১২ লাখ টাকার উপরে। সিন্ডিকেটের কারনে তাই এবছর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
[৪] বৃহস্পতিবার শিডিউল ড্রপের আগে বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বুধবার বসে ভাগাভাগির মিটিং। ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে লেখা হয় ভাগের হার। এতে দেখা যায়, ইউনিয়ন বিএনপিকে দেয়া হয়েছে ১৫ ভাগ, বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ১০ ভাগ, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ১১ ভাগ, বিএনপির স্থানীয় এক নেতার ৬ ভাগ ও এক সময়ের বিএনপির ব্যানারে ইউপি নির্বাচন করা এক প্রার্থী যিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা তাকে দেয়া হয়েছে ৩ ভাগ। মুন্সীগঞ্জ ১ আসনে ক্ষমতাসীন বিকল্প ধারার ভাগে পরেছে ৩ ভাগ। চেয়ারম্যানের এক ইতালী প্রবাসী আত্মীয়কে দেয়া হয়েছে ১ ভাগ।
[৫] অপরদিকে, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগকে দেয়া হয়েছে ৩ ভাগ করে। ভাগাভাগির সময় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
[৬] এই ব্যাপারে বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ভাগাভাগির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে কারা লেখেছে তা আমি জানি না।
[৭] বাঘড়া ইউনিয়ন যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগ ও ক্ষমতাসীন বিকল্পধারাকে নাম মাত্র ভাগ দিয়ে বিএনপি ও বিএনপি থেকে আসা নব্য আওয়ামী লীগ করেন তাদের বড় ভাগে সিন্ডিকেটে রাখতে দ্বিধা না করায় বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :