ডেস্ক রিপোর্ট : গেল প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে মাত্র দু’দিন বাদে দেশে নমুনা পরীক্ষা ১৫ হাজার ছাড়ায়নি। কমেছে শনাক্তের সংখ্যা। তবে সংক্রমণের তুলনামূলক হার আশঙ্কাজনক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড মোকাবিলায় উল্টো পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন ঘটছে না। চলতি মাসের শুরুতে ফি নেয়া শুরু করায় হুট করেই পড়তির দিকে দেশে কোভিড পরীক্ষার হার, আর তাতে কমছে শনাক্তও। সময় টিভি
দেশে একদিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৩৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ২ জুলাই। ফি কার্যকর করায় পরদিনই সে সংখ্যা নেমে যায় ১৪ হাজার ৬৫০-এ। এরপর ১৫ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয় কেবল দু’দিন। যার প্রভাব শনাক্তেও। ২ জুলাই সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হলেও পরবর্তীতে বেশিরভাগ দিনই থেকেছে আড়াই থেকে ৩ হাজারের মধ্যে, কেবল একদিন শনাক্ত হয় সাড়ে ৩ হাজার। ফি নির্ধারণের বাইরেও মানুষের আগ্রহ কম, বন্যা, সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা না করাকেই হার কমার কারণ মনে করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, 'আমাদের এফোর্টের কোনো শেষ নেই। আমরা এফোর্ট দিচ্ছি লোকজন আসুক নমুনা দিক। কিন্তু নমুনা দিতে মানুষই আসছে না। খুব যাদের দরকার তারাই পরীক্ষা দিতে আসছে।'
জনস্বাস্থ্যের ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, 'নমুনা দিতে কেন্দ্রে আসাটা ইস্যু নয়। ইস্যুটা হচ্ছে কে আক্রান্ত তাকে খুঁজে বের করা।'লোকজন আসছে না নমুনা দিতে। সর্বোচ্চ এফোর্ট দিচ্ছি। যাদের খুব দরকার, তারাই কেবল আসছে। শনাক্তের হার বাড়ছে।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ২৬ হাজারের বেশি। আর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ১ লাখ ৭ হাজার আর দ্বিতীয় সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা হয় ৯৫ হাজারের কম। প্রথম সপ্তাহের ২৩ হাজার থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে শনাক্ত নেমে আসে ২১ হাজারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটিকে দেশে কোভিডের প্রকৃত চিত্র মনে করলেও ভিন্ন মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরীক্ষার হার কমিয়ে দিয়ে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় উল্টো পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :