সুজন কৈরী ও লাইজুল ইসলাম : [৩] সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর জন্য উঠেছিলেন মাছ ধরার নৌকায়।
[৪] বুধবার ভোরে সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে করে সকালে ঢাকায় আনা হয়। তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর পর র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু করে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীরবর্তী সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে বারবার অবস্থান পরিবর্তনের কারণে বেশ কয়েকবার সাহেদের কাছাকাছি গিয়েও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
[৫] সাহেদ স্থানীয় দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমরা কিছু দালালের নাম পেয়েছি। যা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
[৬] পুরাতন বিমানবন্দরে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সাতক্ষীরায় সাহেদের গ্রামের বাড়ি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোয় র্যাবের নজরদারি ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে তিন রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
[৭] সাহেদ অত্যন্ত উঁচুমানের একজন প্রতারক। যার ফলে তার সঙ্গে বিভিন্ন স্তরের মানুষের যোগাযোগ ছিল। তিনি সব ধরনের প্রতারণার কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট পরিবর্তন করে সাতক্ষীরায় চলে যান। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব