ডেস্ক রিপোর্ট: [২] মঙ্গলবার এক মানববন্ধনে ১২ দফা দাবিতে নেতারা আরও বলেন, ঢাকাসহ চার নগরীতে পশুর হাট বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে ওলামা লীগ। কোভিড অথবা যানজটের অজুহাতে কোরবানির পশুর হাট রাজধানীর বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেশের মুসলমান সমাজ বরদাশত করবে না।
[৩] মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল হাটের নামে প্রতারিত হবেন কোরবানি দাতারা। কাজেই ডিজিটাল হাট বসানো যাবেনা। ২ কোটি জনসংখ্যার ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক কমপক্ষে ২ শ’ কোরবানির হাট বসানো হোক। কোরবানির হাট ১০ দিন করার দাবি জানান তারা।
[৪] মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, পবিত্র কোরবানির হাট নিষিদ্ধ করলে বা হাটের সংখ্যা কম করা হলে কোরবানি নিরুৎসাহিত করা হয়। এতে সরকারের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়।
[৫] কোরবানি ঈদে সরকারিভাবে ১২ দিন ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কোরবানির হাট ইবাদতের হাট। কাজেই এ হাটে গান-বাজনা, গরুর ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম কাজ মুক্ত করা হোক।
[৬] বক্তারা বলেন, প্রতিটি কোরবানির হাটে পর্যপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন বসানো হোক। পাশাপাশি কোরবানির পশু পরিবহনের গাড়ীতে চাঁদাবাজি এবং ঈদের দিন চামড়া সংগ্রহে মাস্তানদের উৎপাত বন্ধ করা হোক।
[৭] সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব