আতিক খান : মাদ্রাসার হিফজ বিভাগ খুলে দেওয়া হয়েছে। ইসলামী নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আরেকটা সার্কুলার জারি করে কিতাব বিভাগও খুলে দিতে আর মাদ্রাসার বড় বিভাগের ছাত্রদের কুরবানির আগেই মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে আসতে। হঠাৎ কুরবানির আগে এই দৌড়ঝাঁপ কেন? জি ঠিক ধরেছেন। নিশ্চিতভাবেই চামড়া সিন্ডিকেটের ব্যবসায়ীরা আছেন এর পেছনে। ২০০ টাকার গরুর চামড়া সংগ্রহ করাবার জন্য মাদ্রাসা ছাত্রদের ঠেলে দিচ্ছেন ঝুঁকি নেয়ার জন্য। মাদ্রাসা ছাত্রদের জীবনের মূল্য এমনিতেই কম। ওখানে ইসলামী আর রাজনৈতিক নেতাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ে না। সব স্কুলে যেখানে বন্ধ, এসএসসি স্টুডেন্টরা বাসায় বসা, এইচএসসি পরীক্ষা যখন স্থগিত তখন মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুদের এভাবে মহামারীর মধ্যে ডেকে নিয়ে ব্যবসার কাজে লাগানোর চেষ্টা নিন্দনীয়।
মাদ্রাসাগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই আছে? প্রত্যেকের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং, চিকিৎসা সেবার নিশ্চয়তা আছে? দিনশেষে চামড়া যাবে সিন্ডিকেটের কাছে, লাভবান হবেন ইসলামী নেতারা আর মহামারীর বলি হবে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা। ২০০ টাকায় সিন্ডিকেটের কাছে চামড়া এমনিতেও বেচব না, পুঁতে ফেলব মাটিতে। যেদিন সব নেতানেত্রীদের সন্তান পড়ে এমন সব স্কুল-মাদ্রাসা খুলে উনাদের সন্তানদের পাঠাবেন, সেদিন খুলতে পারেন অন্যগুলা। যাদের জীবন এখন ঝুঁকিতে ফেলছেন, তারাও তো কারো না কারো সন্তান, কারো না কারো কলিজার টুকরা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :