শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২০, ০৩:০৬ রাত
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২০, ০৩:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] লাজ ফার্মাসহ রাজধানীর নামিদামি ফার্মেসীগুলোতে বিক্রি হয় ভেজাল বিদেশি ওষুধ!

সুজন কৈরী : [২] দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরা ও টঙ্গীর বিভিন্ন ফ্ল্যাটে রঙ, আটা ও ময়দা মিশিয়ে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ভেজাল ওষুধ তৈরি করা হতো। ওষুধের ওপর লাগানো হতো নকল ল্যাবেল, হলোগ্রাম, কিউআর কোড। এসব ওষুধের কাঁচামাল সরবরাহ হতো টঙ্গী থেকে এবং ফকিরাপুল থেকে তৈরি হতো প্যাকেট-হলোগ্রাম।

[৩] আর এসব ভেজাল ওষুধ বিক্রি হতো লাজ, তামান্না, আল-মদিনা, ইসলামিয়া, বনানী ও গুলশানসহ বিভিন্ন নামিদামি ফার্মেসীগুলোতে । ফার্মেসীগুলোর ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ম্যানেজ করেই বিক্রি হচ্ছিলো এসভ ভেজাল বিদেশি ওষুধ।

[৪] সর্বনিম্ন ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায় এসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছিল। আর এসব পণ্য সরবরাহ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

[৫] গত ৯ জুলাই উত্তরা এলাকায় নকল ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রতারণায় জড়িত কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশ।

[৬] ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভেজাল ওষুধ বিক্রিকারী প্রতিষ্ঠান এসবি কর্পোরেশনের মালিক সামসুল আরেফিন শিবলী নোমানকে দেড় বছরের সাজা ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

[৭] নিম্নমানের কাঁচামাল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি কারখানার মালিক আবদুস সালাম মল্লিককে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ভেজাল ওষুধ বিক্রি করায় লাজ ও তামান্না ফার্মাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

[৮] মশিউর রহমান জানান, আবদুস সালাম মল্লিক ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক। তিনি এর আড়ালে টঙ্গীর চেড়াগআলীতে ভেজাল ওষুধ তৈরি করতেন। এরপর তা দেয়া হতো এসবি কর্পোরেশনের কাছে। সেখানে গিয়ে ভেজাল ওষুধ হয়ে যেত নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওষুধ। প্যাকেট, ল্যাবেল, হলোগ্রাম ও বারকোড ফকিরাপুল থেকে তৈরি হতো। মিটফোর্ড ও চকবাজার এলাকা থেকে বোতল ও প্লাস্টিকের কন্টেইনার এবং টঙ্গী থেকে বিভিন্ন নিম্মমানের কাঁচামাল সংগ্রহ করতো চক্রটি। প্যাকেট, বোতল কিংবা ওষুধের কোনো অংশই বিদেশ থেকে আনা হতো না।

[৯] ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, তারা আটা-ময়দা আর রং মিশিয়ে ওষুধ তৈরি করে বিক্রি করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব ওষুধ সামগ্রী আমদানি হয় না। এসব জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়