গোলাম মোর্তোজা: এদেশে শুধু কথা বলার জন্যে নিপীড়ন-গ্রেপ্তার চলে, কাউকে কাউকে মাসের পর মাস কারাগারে থাকতে হয়। কথা বললেই তাদের ‘ইজ্জত-সম্মান’ চলে যায়। অথচ করোনা মহামারি নিয়ে অন্যায়-অনিয়ম-জালিয়াতি, কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগেও কারও ‘ইজ্জত-সম্মান’ যেতে দেখা যায় না। লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করা যায়। অভিজ্ঞতাহীন ‘জেকিজে’কে চুক্তি করে জালিয়াতির সুযোগ দেওয়া যায়। এতে মন্ত্রী বা মহাপরিচালককে জবাবদিহি করতে হয় না। এতে কারও ‘ইজ্জত-সম্মান’ও যায় না। সারা পৃথিবী জানছে বাংলাদেশে পরীক্ষা না করেই কোভিড-১৯ শনাক্তের ফল দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে আমাদের ক্ষমতাবানদের ‘ইজ্জত-সম্মানে’ আঘাত লাগছে না।
র্যাবের অভিযানের পর রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ নাকি পলাতক। সাহেদের সঙ্গে টকশোর কারণে পরিচয় হয়েছে। টকশো শেষে নিজের বড় গাড়িতে একদিন বাসায় নামিয়েও দিয়েছেন। নিজে যেমন বড় গাড়িতে চড়েন, তেমন আরেকটি বড় গাড়িতে তার সঙ্গে অস্ত্রধারী তিন চারজন রক্ষী থাকেন। শাহেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো পদে ছিলেন বা এখনও আছেন। অন্তত তেমনই বলতেন। তাছাড়া এতগুলো অস্ত্রধারী রক্ষী রাখার অনুমতি পাওয়ার কথা না। যাইহোক অর্থ ও সামর্থ্য থাকলে, আরও বেশি সংখ্যক গাড়িতেও অস্ত্রধারী রক্ষী রাখতে পারেন। এ নিয়ে কিছু বলছি না। বলছি, কোভিড-১৯ নিয়ে জালিয়াতির কথা। বলছি, জাল কোভিড-১৯ ফল ও কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেওয়ার কথা। বুঝলাম, তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। যারা তার সঙ্গে চুক্তি করে জালিয়াতির সুযোগ দিলেন, তাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান বা বক্তব্য কী? অ্যাকশন কী? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :