আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : [২] আর কিছু দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে, এবার ভারত থেকে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ হলেও করোনা ভাইরাসের কারনে গরু বিক্রি নিয়ে চিন্তিত খামরী ও ব্যবসায়ীরা।
[৩] সাতক্ষীরায় দেশী গরুর উৎপাদন ও চাহিদা বাড়লেও তা বিক্রি নিয়ে রয়েছে সংশয়। এবার কোরবানিতে জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৮ হাজার গরু, ছাগল ও ভেড়া উদ্বৃত্ত থাকবে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
[৪] সাতক্ষীরা জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলায় এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রায় ৫৯ হাজার ২৯৭ টি গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার গরু এবং ২৮ হাজার ছাগল ও ভেড়া কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোরবানীর পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিকভাবে শতাধিক গরু মোটাতাজাকরণ খামারও গড়ে উঠেছে। এছাড়া খামারিরা এবার গরু মোটাতাজাকরণে ওষুধ প্রয়োগ থেকেও বিরত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।
[৫] আগরদাড়ি গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মজনু মালী জানান, তার খামারে প্রায় ১০০ গরু রয়েছে। যা তিনি সারা বছর লালন পালন করে বড় করেছেন এই ঈদে বিক্রির জন্য। করোনা ভাইরাসের কারনে তিনি সংশয়ে আছেন গরু বিক্রি নিয়ে। ঈদের আর ২০/২১ দিন বাকী অথচ তিনি এখনও একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি। তার উপরে তিনি অনলাইন শপিং সম্পর্কে কিছুই জানেনা।
[৬] বর্তমান এই করোনা পরিস্থিতির কারনে গরু ব্যবসায়ী ও খামারীরা যাতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
[৭] সাতক্ষীরা জেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ৫৯ হাজার ২৯৭ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৮ হাজার উদ্বৃত্ত থাকবে বলে।
[৮] তিনি আরো জানান, এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারনে যাতে মানুষ ঘরে বসে গরু ক্রয় করতে পারেন সেজন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “ব্রান্ড জোন ডট কম ডট বিডি” নামে একটি অনলাইন খোলা হচ্ছে। সেখানে গরুর ছবি ও মালিকের মোবাইল নাম্বার থাকবে ক্রেতা সাধারন ছবি দেখে গরু মালিকের সাথে কথা বলে দাম ঠিক করে তা ক্রয় করতে পারবেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ