আনিস তপন : [২] মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে অনলাইন জুম প্ল্যাটফর্মে এ বৈঠকে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কানাডার কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি-খাদ্য মন্ত্রী ম্যারি-ক্লদ বিবেউ (Marie- Claude Bibeau) বৈঠক করেন।
[৩] বাংলাদেশ এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে কৃষিকে বানিজ্যকরণের গুরাত্বারোপ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ জন্য এগ্রো-প্রসেসিং ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে বাংলাদেশের। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ দুইক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সেজন্য এগ্রো-প্রসেসিং যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে কানাডা।
[৪] কানাডায় মৌসুমি-কৃষি শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং বাংলাদেশে কৃষি ডিপ্লোমাধারী প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মৌসুমি ও অস্থায়ী ভিত্তিতে এসব কর্মীকে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কানাডা নিতে পারে বলেও জানান, ড. রাজ্জাক।
[৫] চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী কানাডাকে বাংলাদেশ থেকে চাল আমদানির অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে সেদেশে আম রপ্তানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
[৬] কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে কানাডার কৃষি ও কৃষি-খাদ্য মন্ত্রী ম্যারি ক্লদ বিবেউ বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কৃষি শ্রমিক নেয়া, চাল ও আম আমদানির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে জানিয়ে কানাডার কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এগ্রো-প্রসেসিং ও কৃষিপণ্যের বাজারজাত করণে প্রযুক্তিগত সহায়তার আশ্বাস দেন। তাছাড়া বাংলাদেশকে কৃষি গবেষণা প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহায়তারও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।