সাইদ রিপন: [২] গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এছাড়া পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত মে মাসের তুলনায় জুনে মূলস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। বন্যার ধাক্কায় এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, জুন মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূণ্য ২ শতাংশ।
[৩] সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র দেখা গেছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ভার্চ্যুয়াল সভায় একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সভা শেষে মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান।
[৪] পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মে মাসের তুলনায় জুনে শূণ্য দশমিক ৬৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বন্যার কারণে সবজির ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এমনিতেই আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে অতিবৃষ্টির কারণে এ সময়টাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে যায়। তবে আমরা আশা করছি, বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত রাস্তা-ঘাট সংস্কার হবে, তখন সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক হবে। ফলে মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে।
[৫] বিবিএস’র তথ্যানুযায়ী, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মে মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ-মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়তি। এছাড়া মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
আপনার মতামত লিখুন :