রাশিদ রিয়াজ : [২] জাতিসংঘ বলছে কোভিডের দ্বিতীয় ধকলে বিশ্ব পর্যটনে অনেক দেশের প্রধান এ অর্থনৈতিক খাত আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। জাতিসংঘের এ সমীক্ষায় বলা হচ্ছে আরো এক বছর কোভিড পরিস্থিতি বজায় থাকলে পর্যটন ব্যবস্থা চালু করা যে কোনো দেশের জন্যে অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং বিশ্বে এখাতে ক্ষতি দাঁড়াবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার। পর্যটনে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ১৮৭ বিলিয়ন ও চীনের ১০৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। আরটি
[৩] ইউনাইটেড ন্যাশনস কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভলপমেন্ট (আঙ্কটাড) বিশ্ব পর্যটন খাতের সম্ভাব্য তিনটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলছে ভয়াবহ ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়বে খাতটি, আংশিক ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে যদি কোভিডের দ্বিতীয় ধকল ছড়িয় না পড়ে এবং সংকটের গভীরতা নির্ভর করবে কতদিনের জন্যে ভ্রমণকারীরা ভ্রমণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
[৪] এসএন্ডপি’র আরেক জরিপে বলা হয়েছে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি এমন এক গভীর খাদে পড়েছে যেখান থেকে এর পুনরুদ্ধার ২০২৩ সালের আগে সম্ভব হয়ে উঠবে না আর পর্যটনের সঙ্গে এ খাতটি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
[৫] আঙ্কটাডের হিসেবে বলা হচ্ছে গত চারমাসের লকডাউনে বিশ্ব পর্যটন খাতের ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১.২ ট্রিলিয়ন যা বিশ্ব জিডিপি’র দেড় শতাংশ। এখন লকডাউন যদি আরো চারমাস স্থায়ী হলে এ খাতের ক্ষতি ২.২ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে যা বিশ্ব জিডিপি’র ২.৮ শতাংশ এবং পুরো একবছর লকডাউন থাকলে ক্ষতি ৩.৩ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে যা বিশ্ব জিডিপি’র ৪.২ শতাংশ।
[৬] কোনো দেশের জাতীয় আয় ৩ মিলিয়ন ডলার কমে যেতে পারে যদি এর পর্যটন খাতে আয় ১ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পায়। এর আগে বিশ্বব্যাংক আরেক পূর্বাভাসে জানিয়েছে কোভিড বিশ্বের ৬ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্রে ঠেলে দেবে।
[৭] পর্যটন খাতের আয় হ্রাসে জ্যামাইকা বা থাইল্যান্ডের মত দেশগুলোর অর্থনীতি যথাক্রমে ১১ ও ৯ শতাংশ কমে যেতে পারে। ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতি একই কারণে ৮ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে।
[৮] থাইল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানির মত পর্যটন প্রধান খাতের আয় অন্তত হ্রাস পেতে পারে ৪৭ বিলিয়ন ডলার।