লাইজুল ইসলাম : [২] স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন অনলাইন আলাপচারিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড সাইকোথেরাপি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এখনই সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইড চালু করতে হবে। আমরা এখন স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের মধ্যে আছি, ছয় মাস পার হয়ে গেলে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের মধ্যে অনেকে চলে আসবে।
[৩] ডা. শামসুন নাহার বলেন, স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশুদের জীবনযাপনে বড় ছন্দপতন হয়েছে। তারা বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারছে না। কোনো বাচ্চার বাবা-মা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে থাকলে সেপারেশন অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগতে হয়।
[৪] জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানসিক চাপ শুধু শিশুদের নেই বড়দেরও আছে। চাকরি নিয়ে শঙ্কা দেশের বেশির ভাগ মানুষের ভিতরে। যা মেন্টাল ডিজঅর্ডারের বড় কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও সেবা কর্মীদেরও মানসিক চাপ রয়েছে। পরিবারকে তারাও সময় দিতে পারছে না। তাই দেশের মানুষের মেন্টাল হেলথ ঠিক রাখতে মানসিক প্রাথমিক চিকিৎসা খুবই জরুরী হয়ে পরেছে।
[৫] জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির মেন্টাল হেলথ বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ডা. এম তাসদিক হাসান বলেন, বিভিন্ন পেশার মানুষের পাশাপাশি যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে। তারা হয়তো হাসপাতালেই যেতে পারছেন না। তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সব ধরনের ডিসঅ্যাবিলিটি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। কারণ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সফলতা পাওয়া যায়নি।