ইমরুল শাহেদ : প্রায় আড়াই মাস বিরতির পর চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে নতুন দুটি ছবি নিবন্ধিত হয়েছে। তার একটি হলো মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত সবুজছায়া এবং অপরটি হলো মো. দ্বীন ইসলাম পরিচালিত চরিত্র। এর আগে গত মার্চে সর্বশেষ নিবন্ধিত হয় কবরীর এই তুমি সেই তুমি এবং মালেক আফসারীর টেনশন। তবে কোনো ছবির কাজই সহসা শুরু হবে না বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে সরকার ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দিয়েছে। সে ছবিগুলোও পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত হবে। এই ছবিগুলো শুরু হলে কিছু শিল্পী ও কলা-কুশলী আপাতত কাজে ফিরতে পারবেন। তাদের জীবন ও জীবিকার সাময়িক একটা ব্যবস্থা হবে। কিন্তু এসব ছবিগুলো মুক্তি পাবে কোথায়? এছাড়া মূলধারার ছবি ছাড়া চলচ্চিত্র ব্যবসায়েরও কোনো উন্নতি হবে না। দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির একজন উপদেষ্টা বলেছেন, সিনেমা হলের সংখ্যা ৮০টির বেশি নয়। এখন শোনা যাচ্ছে সেই সংখ্যা ৬০টিতে নেমে এসেছে। তাহলে চলচ্চিত্রে কি ভয়াবহ ধস নেমে আসছে তা সহজেই অনুমেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আপৎকালীন সময়ে বিকল্প হিসেবে ছবি মুক্তির জন্য এ্যাপসকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইউটিউব বা স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে ছবি মুক্তি দিয়ে কী প্রযোজক পরিবেশকরা লাভবান হবেন? হয়তো হবেন। তবে চলচ্চিত্র হলো পর্দার মাধ্যমে সরসরি দর্শকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার মাধ্যম। এ্যাপসের মাধ্যমে ছবি মুক্তি দেওয়া হলে চলচ্চিত্রের এই বৈশিষ্ট্যটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে অনেকে মনে করেন।
একজন অভিনেতা বলেন, ‘দর্শক ছবি দেখে হাততালি দেবে, আনন্দে উদ্বেলিত হবে, সেটা আমরা দেখব, আনন্দিত হব। এটাই হলো সিনেমা।’ একইসঙ্গে এ্যাপসের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রের স্থান হবে মিউজিক ভিডিও, ইউটিউব কনটেন্টেসের পাশেই। তখন চলচ্চিত্রের প্রতি কারো আগ্রহ থাকবে কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয় রয়েছে। কোভিডোত্তর দর্শকের মধ্যে একটা মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আসতে পারে। সূচিত হতে পারে নতুন আরেকটি যুগ। তখন প্রচলিত নিয়মানুসারে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তখন দর্শক চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রাখাও কষ্টকর হয়ে পড়বে।