মমতাজুর রহমান: [২] কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি জেলায় রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। আয় রোজগার না থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবৃত্তদের অবস্থা অনেকটা নাজুক। বিশেষ করে যারা বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়েছেন।
[৩] কোভিড-১৯ মধ্যে ঋণ পরিশোধ করা তাদের পক্ষে অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ছোট বড় এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঠকর্মীরা ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের উপর চড়াও হচ্ছে। কিস্তির টাকা না দিলে তারা বাড়িতে বসে থাকাসহ অশোভন আচরণ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। আর এমন অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার আদমদীঘিতে অবস্থিত দেশের সুনাম ধন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে।
[৪] মহামারী কোভিড-১৯ আতঙ্কে বিশ্ববাসী। এমন পরিস্থিতিতে গত সাড়ে তিনমাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন সঙ্কটময় অবস্থায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। যেখানে দু’বেলা খাবার জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের মানুষগুলোকে।
[৫] উপজেলার ছোট-বড় বেসরকারি সংস্থাগুলো কয়েক দিন ধরে ঋণ পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের চাপ দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে সরকার করোনা পরিস্থিতিতে চলতি মাসের ৩০ জুন পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি শিথিলযোগ্য করা হলেও তা বাড়িয়ে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
[৬] নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :