মঞ্জুরুল আলম পান্না : একটা বালিশের দাম ৬ হাজার টাকা শুনে আমার বিস্ময় প্রকাশ দেখে সরকারের একজন উচ্চপদস্থ আমলা নিজেই বিস্মিত হয়েছিলেন। একটু মুচকি হেসে বুড়ো আঙুলটা দেখিয়ে বললেন, ‘আপনারা আসলে ঘোড়ার ডিমের সাংবাদিক। হঠাৎ হঠাৎ করে এক একটা নিউজ বের করেÑ ভাবেন, কী এক মহাভারতই না আবিষ্কার করে ফেললাম’! তারপর আপদমস্তক সৎ সেই আমলা ভদ্রলোক স্বাস্থ্যখাতসহ বেশ কিছু প্রকল্পের দুর্নীতির অন্ধকার রাজ্যের কথা শোনালেন। আমি তার সামনে আর কোনো প্রকার বিস্ময় প্রকাশ করলাম না। তিনি আবারও যাতে আমার মতো কুয়োর ব্যাঙ শ্রেণির সাংবাদিকদের ‘ঘোড়ার ডিম’ বলে সম্বোধন না করেন, এই জন্য।
করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকমর্মীদের এক মাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা শুনে যারা বিস্ময় প্রকাশ করছেন, এই মুহূর্তে তাদেরও আমার কাছে ‘ঘোড়ার ডিম’ জাতীয় কিছু মনে হচ্ছে। আমি কিন্তু ২০ কোটি টাকার হিসেব শুনে এতোটুকুও অবাক হইনি। তবে একটুখানি বিস্মিত হচ্ছি এ কারণে যে, ২০ কোটি টাকার হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই হতবাক হয়েছেন।
ফেসবুক থেকে