আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ : [২] পাহাড় সমতল ও হাওর এই ধরনের ভূপ্রকৃতি নিয়ে গঠিত যে জনপদ তার নাম সুনামগঞ্জ। শনিবার রাত থেকে ব্যাপক পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে বন্যা শুরু হলে প্রথম দফাতেই সীমান্ত সংলগ্ন সদর, দোয়ারাবাজার,বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার একাংশে মানুষের কাচাপাকা ঘরবাড়িতে বন্যার পানি উঠে।
[৩] জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে পড়েন। মঙ্গলবার সুরমার পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়ছে। ফলে জেলা শহরের দক্ষিণাংশের এলাকাসহ জগন্নাথপুর,দিরাই,জামালগঞ্জ ধর্মপাশা উপজেলা নতুন করে প্লাবিত হতে থাকে। হাওরে এসে সুরমার পানি চাপ তৈরি করায় গ্রামগঞ্জের নতুন নতুন এলাকায় অনেক মানুষের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
[৪] সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে গত রোববার সুরমার পানি বিপতসীমার ৭০ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃষ্টিপাত কমায় সুরমার পানি ২৯ জুন সোমবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৩৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় পানির চাপ কিছুটা কমলেও নদী তীরবর্তী এলাকার বাইরে এসে সেই পানি চাপ সৃষ্টি করছে। এতে শহরের দক্ষিণাংশের বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে।
[৫] মঙ্গলবার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাউল সারোয়ার তালুকদার জানান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উজেলার শিমুলকাক ইউনিয়ন ও দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ও রফিনগর ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। এখন প্রধান সড়কসহ সংযোগ একাধিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় ৩ শতাধিক মানুষের বাসাবাড়িতে নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী