বাশার নূরু:[২] উত্তরপ্রদেশে ঘরে ফেরা ৩০ লক্ষ মৌসুমী শ্রমিকদের অধিকাংশই ফের কাজে ফিরছেন। তাদের কাছে খিদেতে মরার চেয়ে ভাইরাস সংক্রমণ ভালো। দেওরিয়া থেকে গোরক্ষপুরের বাসে ওঠার আগে এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানান অনেক শ্রমিক। গোরক্ষপুর থেকে বিশেষ ট্রেন ছাড়ছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের উদ্দেশ্যে। সেই ট্রেনে যাওয়ার জন্যই এই বাসযাত্রা।
[৩] মুম্বাইয়ের এক কাপড়ের দোকানে কাজ করা খোরশেদ এনডিটিভিকে বলেন, আমার সংস্থা এখনও বন্ধ। তাই একমাস আগে গ্রামে ফিরেছি। এখন নতুন কাজের খোঁজে আবার মুম্বাই যাচ্ছি। যদি আমার রাজ্যে কর্মসংস্থান থাকত, তাহলে আবার মুম্বাই ফিরতাম না। খিদের থেকে করোনা ভালো। আমার সন্তানরা করোনায় মরার চেয়ে আমি মরি, সেটাই ভালো।
[৪] কলকাতার এক সংস্থায় টেকনিশিয়ানের কাজ করা দিবাকর প্রসাদ সেই হোলির সময় গ্রামে ফিরেছিলেন। কিন্তু এরপর সংক্রমণ-বৃদ্ধি ও লকডাউনের কারণে আর কলকাতায় ফিরতে পারেননি। তবে, আনলক পর্বে তার প্রতিষ্ঠান খুঁলেছে। তাই দিবাকর প্রসাদ বলেন, আমি ভীত কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভীত গ্রামে থাকতে। নিজে কী খাব? পরিবারকে কী খাওয়াবো? স্ত্রী-সন্তান-সহ তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাত।
[৫] এদিকে, সরকারি তরফে মনরেগা প্রকল্পের কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ইউপি ফেরা শ্রমিকদের। পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পে প্রায় ৬০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এমনটাও শনিবার রাজ্য সরকার দাবি করেছে। কিন্তু তারপরেও দিল্লি, মুম্বাই, সুরাত ফেরার ঢল।
[৬] এ বিষয়ে এসি টেকনিশিয়ান মুহম্মদ আবাদের দাবি, সরকার এখানে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই প্রকল্প আমাদের অবধি পৌঁছায় না। তাছাড়া মুম্বাইতে টাকা বেশি। এখানে থেকে সেটা পাব না। তাই খানিকটা বেকারের মতো থাকা। যেখানেই যাবেন আপনাকে শুনতে হবে কাজ নেই।