শিরোনাম
◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ  ◈ ৯১ সালে জামায়াত সমর্থন না দিলে বিএনপি এ পর্যায়ে আসতো না: তাহের ◈ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিএনপি কী কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে ◈ সংসদ নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতেই একুশে বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২০, ০৪:২৭ সকাল
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২০, ০৪:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাংলাদেশের পাওনা ১১.৬২ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া

রাশিদ রিয়াজ : [২] ১৯৯৪ সালে কেনা বিভিন্ন সামগ্রীর জন্য উত্তর কোরিয়ার কাছে পাওনা অর্থ আদায়ে বেইজিংয়ে বাংলাদেশি দূতাবাস উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। ২৬ বছর আগে সোনালী ব্যাংকের সাথে বার্টার চুক্তির আওতায় এসব পণ্য আমদানি করে উত্তর কোরিয়া। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

[৩] বার্টার চুক্তির আওতায় উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করেছিল সেগুলো হলো: চাল, সিমেন্ট, চা, পাট ও পাটজাত পণ্য, ইউরিয়া সার, পশুর চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, সাবান, ডিটারজেন্ট, টয়লেট্রিজ এবং গ্লিসারিন।

[৪] বার্টার ৫ চুক্তির আওতায় উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশ থেকে ৬.১৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনেছিল, তবে তা ক্রয় করার সময় কোনও মূল্য পরিশোধ করেনি। বার্টার ৫ এর পুরো বকেয়াগুলি বার্টার ৬ এ স্থানান্তরিত হয়েছিল, যা ১৯৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর স্ট্যান্ডিং ৬.২৬ মিলিয়ন ডলারে স্বাক্ষরিত হয়।

[৫] এর পরের বছর ৩১ মার্চ কোনও লেনদেন ছাড়াই বার্টার ৬ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে বেইজিংয়ে বাংলাদেশি দূতাবাস চীনের উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের কাছে বাকি বকেয়া পরিশোধের জন্য কয়েকবার যোগাযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উত্তরও দেয় নি কিম জং উনের দেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এখন বিলটি সুরক্ষিত করার জন্য সোনালী ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন ডিভিশন (এফআইডি) এর যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

[৬] বাংলাদেশ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে প্রথম বার্টার চুক্তি হয় ১৯৭৭ সালের ১২ আগস্ট। চুক্তির আওতায় সোনালী ব্যাংককে বাংলাদেশের পক্ষে এবং বিদেশি বাণিজ্য ব্যাংককে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য মনোনীত করা হয়। ১৯৯৪ সালে বার্টার ৬ এর স্বাক্ষরের পরে উভয় ব্যাংকই দুটি দেশের পর ব্যাংকিং লেনদেনের জন্যে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই আন্তঃব্যাংক চুক্তিতে তিন মাসের ডলার এলআইবিওর হারে সুদ আদায়ের বিধান অন্তর্ভুক্ত ছিল।

[৭] সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান জানান, বারবার আবেদনের প্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়ার ফরেন ট্রেড ব্যাংক সোনালী ব্যাংককে ২০১২ সালের ৩০ জুন একটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে ১০.০৪ মিলিয়ন ডলার বকেয়া নিশ্চিত করে। উত্তর কোরিয়ার ব্যাঙ্ককে বারবার বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হলেও, তারা আদৌ সেটি পরিশোধ করছে না চিঠিতে তাও উল্লেখ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়