আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] দিল্লি-গুরুগাঁও সীমান্ত দিয়ে এই ফসলখেকো পতঙ্গের দল গুরুগাঁওতে প্রবেশ করলেও এখনও ভারতের রাজধানীর দিকে যায়নি। তবে আশঙ্কা, যেকোনও দিন গুরুগাঁও থেকে দিল্লিতেও হানা দেবে এই পঙ্গপাল। এনডিটিভি, দ্য হিন্দু
[৩] পঙ্গপালের হামলা থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের যতটা সম্ভব দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি বাসনপত্র, ঢাক-ঢোল, হাতের কাছে যা পাওয়া যাবে তাই পিটিয়ে ক্রমাগত শব্দ করারও পরামর্শ দিয়েছে তারা। কারণ খুব জোরে নানারকম আওয়াজ করলে পঙ্গপালের ঝাঁক ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
[৪] গুরুগাঁও প্রশাসন বলেছে, ‘কৃষকদের অবশ্যই কীটনাশক স্প্রে করার পাম্পগুলোকে প্রস্তুত রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনের সময় তারা সেটা ব্যবহার করতে পারেন।’
[৫] এর আগে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানা সহ পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের বহু অংশে হানা দিয়ে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে এই পঙ্গপালের দল। এর সঙ্গে লড়াই করতে ১১টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
[৬] ইতোমধ্যেই হরিয়ানার মুখ্যসচিব কেশনি আনন্দ অরোরা সেই রাজ্যের কৃষি দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে যে পঙ্গপালের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সব রকম পদক্ষেপের প্রস্তুতি রাখতে। মূলত আফ্রিকা থেকে এই পঙ্গপালের ঝাঁক ইরান, পাকিস্তান হয়ে ভারতে ঢুকেছে। এরা ক্ষেতের পর ক্ষেত নষ্ট করে দিতে পারে চোখের পলকে।
আপনার মতামত লিখুন :