মহসীন কবির : [২] শনিবার (২৭ জুন) দুপুর আড়াইটায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
[৩] তিনি জানান, কোভিডে মোট মারা গেছেন ১৬৯৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন এবং নারী ২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ‘২১ থেকে ৩০ বছর ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১৩ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছর ৭ জন মারা গেছে।
[৪] তিনি জানান, ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন, সিলেট বিভাগে ৪ জন এবং রংপুর বিভাগে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাসায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৫] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫০৫৯ জনের। আর পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৫১৫৭ জনের। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজার ৯৮ জনের।
[৬] নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১৮৫, মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৪৩১৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৫৪৮ শতাংশ।
[৭] ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ৭২৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ২৪ হাজার ৯৩ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৫৯ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৯ হাজার ৮২৬ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ২৬৭ জন।
[৮] দেশে কোভিড-১৯ এ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।