শাহানুজ্জামান টিটু : [২] বিএনপির সংসদ সদস্য বলেন, সরকার সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে করোনার সময়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে বলে প্রচন্ড গলাবাজি করে। সরকারের প্রেসনোটে দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিতরণকৃত চাল আর উপকারভোগীর সংখ্যা হিসেব করে দেখা গেছে প্রতিটি মানুষকে আড়াই মাসে দেয়া চালের পরিমাণ মাথাপিছু আড়াই কেজি। সেই হিসেবে দৈনিক এই সময় মানুষ খেয়ে বাঁচার জন্য পেয়েছে ৩৪ গ্রাম চাল।
[৩] রুমিন ফারহানা বলেন, আড়াই মাসে মাথাপিছু বরাদ্দ হয়েছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতিদিনের হিসাবে বরাদ্দ ২৪ পয়সা। ন্যূনতম লজ্জা থাকলে এই তুচ্ছ পরিমাণ সাহায্য বরাদ্দ করে সরকার সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে ত্রাণ দেয়ার ফুটানি দেখাত না। আর এই ত্রানের টাকাও আমাদেরই করের টাকা।
[৪] বিএনপির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক বলেন, ৮ মার্চ সরকারিভাবে বাংলাদেশ যখন করোনা সংক্রমণ স্বীকার করা হয় তার আগে ১০২ টি দেশে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছিল। বাংলাদেশে দুই মাস ৭ দিন সময় পেয়েছিল প্রস্তুতি নেবার।
[৫] তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের জন্য হাতে মাত্র ২০০০ টেস্ট কিট আর একটি মাত্র টেস্ট সেন্টার নিয়ে নিয়ে সরকার ঘোষণা করল তাদের সবরকম প্রস্তুতি আছে। সেই প্রস্তুতির ব্যাপারে সরকার এতই আত্মবিশ্বাসী ছিল সরকারি আয়োজনে আতশবাজি উৎসব হয়েছে, স্টেডিয়ামে কনসার্ট হয়েছে, নির্বাচন হয়েছে, যার মাশুল মানুষ দিয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে।
[৬] শনিবার প্রতিক্রিয়ায় রুমিন ফারহানা একথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :