শিরোনাম
◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত ◈ কতটুকু জায়গা ছাড়তে হয় বাড়ি করার সময়, জেনে নিন আইনে কী আছে ◈ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৪ বাংলাদেশি ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পে-স্কেলের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব, কোন গ্রেডে কত? ◈ বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নিয়ে বড় সুখবর! ◈ নোট অব ডিসেন্ট না রেখে অনৈক্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত, জরুরি অবতরণেও নিষেধাজ্ঞা জারি ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইউকের ১০ বছর পূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত  ◈ সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ ◈ বিএনপির অবস্থান পরিবর্তন হয়নি, গণভোট ও নির্বাচন হতে হবে একই দিনে: আমীর খসরু

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২০, ০৮:৪৩ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০২০, ০৮:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] নোয়াখালী হাতিয়ায় মানবিকতার অনন্য নজির ডা. নিজাম উদ্দিন

মাহবুবুর রহমান : [২] মঙ্গলবার রাত ১১টায় হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অসুস্থ ৫০ বছরের এক রোগী নিয়ে এলেন এক মহিলা। রোগীর আহাজারী শুনে সাথে সাথে এগিয়ে আসেন ডিউটি ডাক্তার নিজাম উদ্দিন। কাছে আসতেই রোগীর মুমূর্ষ অবস্থা দেখেই তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সিঁড়িতে বসেই চিকিৎসা দিতে থাকেন ডা. নিজাম উদ্দিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে না বাঁচাতে পেরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে নুয়ে পড়েন ডাক্তার নিজাম উদ্দিন। এমন মানবিক ঘটনাটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

[৩] ঘটনাটি ঘটেছে, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে। মৃত পবন দাশ (৫০) নামের কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ৭ দিন আক্রান্ত থাকার পর রাতে চিকিৎসা নিতে আসা নোয়াখালীর আর তখন স্বামীর মৃত্যুর দেখেই সেই সময় স্ত্রীর আহাজারিতে ভেসে উঠে হৃদয়বিদারক এক পরিবেশ।

[৪] এ বিষয়ে ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, রোগীর স্বজনের চিৎকার শুনে আমি বেরিয়ে এসে রোগীর অবস্থা দেখে তখন তাৎক্ষণিকভাবে সিঁড়িতে বসে তার চিকিৎসা দিতে থাকি কিন্তু চিকিৎসার এক পর্যায়ে যখন সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তখন নিজেকে খুব হতাশ মনে হয়। কিছুতেই যেন মানতে পারছি না, এভাবে রোগীর চলে যাওয়া। আরেকটু আগে আসলে রুগীকে হয়তো ভালো চিকিৎসা দিতে পারতাম। তাকে ভালো করার চেষ্টা করতে পারতাম। সময় মতো চিকিৎসা না দিতে পারায় আমি তখন কষ্টে হাত পা ছেড়ে দিয়ে হাসপাতালের সিঁড়তেই বসে পড়ে যাই। কারণ, ঐ মুহূর্তটা আমার কাছে ডাক্তার হিসেবে সবচেয়ে বড় কঠিন মুহূর্ত ছিলো। সম্পাদনা : হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়