শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ কর্মকর্তাকে মাদারীপুর থেকে উদ্ধার ◈ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে টানা পতন: তিন মাসে ক্ষতি শত কোটি ডলার ◈ দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন ◈ তিতাস গ্যাস ফিল্ডে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন, জাতীয় গ্রিডে বাড়ল ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণে হতাহত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা বাংলাদেশের ◈ প্রবাসীদের বড় সুখবর দিল ওমান সরকার ◈ জেদ্দায় স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ–সৌদি হজ চুক্তি: ৭৮ হাজার ৫০০ জনের কোটা নির্ধারণ ◈ ৪৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর পেলেন ‘সি’ গ্রেড: গ্লোবাল ফাইন্যান্সের মূল্যায়ন

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২০, ০৮:৪৩ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০২০, ০৮:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] নোয়াখালী হাতিয়ায় মানবিকতার অনন্য নজির ডা. নিজাম উদ্দিন

মাহবুবুর রহমান : [২] মঙ্গলবার রাত ১১টায় হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অসুস্থ ৫০ বছরের এক রোগী নিয়ে এলেন এক মহিলা। রোগীর আহাজারী শুনে সাথে সাথে এগিয়ে আসেন ডিউটি ডাক্তার নিজাম উদ্দিন। কাছে আসতেই রোগীর মুমূর্ষ অবস্থা দেখেই তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সিঁড়িতে বসেই চিকিৎসা দিতে থাকেন ডা. নিজাম উদ্দিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে না বাঁচাতে পেরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে নুয়ে পড়েন ডাক্তার নিজাম উদ্দিন। এমন মানবিক ঘটনাটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

[৩] ঘটনাটি ঘটেছে, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে। মৃত পবন দাশ (৫০) নামের কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ৭ দিন আক্রান্ত থাকার পর রাতে চিকিৎসা নিতে আসা নোয়াখালীর আর তখন স্বামীর মৃত্যুর দেখেই সেই সময় স্ত্রীর আহাজারিতে ভেসে উঠে হৃদয়বিদারক এক পরিবেশ।

[৪] এ বিষয়ে ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, রোগীর স্বজনের চিৎকার শুনে আমি বেরিয়ে এসে রোগীর অবস্থা দেখে তখন তাৎক্ষণিকভাবে সিঁড়িতে বসে তার চিকিৎসা দিতে থাকি কিন্তু চিকিৎসার এক পর্যায়ে যখন সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তখন নিজেকে খুব হতাশ মনে হয়। কিছুতেই যেন মানতে পারছি না, এভাবে রোগীর চলে যাওয়া। আরেকটু আগে আসলে রুগীকে হয়তো ভালো চিকিৎসা দিতে পারতাম। তাকে ভালো করার চেষ্টা করতে পারতাম। সময় মতো চিকিৎসা না দিতে পারায় আমি তখন কষ্টে হাত পা ছেড়ে দিয়ে হাসপাতালের সিঁড়তেই বসে পড়ে যাই। কারণ, ঐ মুহূর্তটা আমার কাছে ডাক্তার হিসেবে সবচেয়ে বড় কঠিন মুহূর্ত ছিলো। সম্পাদনা : হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়