ইসমাঈল ইমু : [২] রাজধানীর মিরপুর এলাকায় মাদক বিক্রেতা পারুল অন্ধকার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসতে চান। আবারো স্বাভাবিকভাবে সংসার করতে চান। হত্যাসহ ৯টি মামলায় সব খুইয়ে একমাত্র ছেলেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কথা জানান এই নারী।
[৩] এ প্রতিবেদককে পারুল জানান, ভালো পথে ফিরতে চাইলেও বাঁধ সাধছেন শাহআলী থানার কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা। তার কাছে মাদক পাওয়া যাক আর না যাক পুলিশকে টাকা দিতেই হবে। কারণ তিনি এক সময় ওই এলাকার আলোচিত মাদক বিক্রেতা ছিলেন। বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হবার পর তার ঘর-বাড়ি দখলসহ তার পরিবারের সকলকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। একমাত্র ছোট্ট ছেলের পড়াশুনাও অনিশ্চয়তায় পড়ে। জামিনে বেরিয়ে আবারো উর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় ঘর ফিরে পেলেও থানা পুলিশের প্রতিনিয়ত হয়রানীতে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন।
[৪] তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর জানতে পারেন তার স্বামী একজন মাদক সেবী। কোনো কাজ করেন না। সংসার চালাতে বাধ্য হয়েই মাদক ব্যবসায় জড়ান। এরই মধ্যে একটি ছেলে সন্তানেরও জন্ম হয়। কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজ ও পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তার রোষানলে পড়ে সব হারান তিনি।
[৫] পারুল আক্ষেপ করে বলেন, ২০১৬ সালে শাহআলী এলাকার চা বিক্রেতাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটায় পুলিশ। ওই মামলার এক নম্বর আসামী করা হয়েছে তাকে। বর্তমানে মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। যেসব মাদক বিক্রেতা ওই এলাকায় মাদক স্পট চালাচ্ছে তারা পুলিশের সহযোগিতায় আবারো মামলায় জড়ানো ও নানা হুমকি ধমকির মধ্যে রেখেছে। এ অবস্থায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ