আরিফুল ইসলাম, সরাইল : [২] জেলায় রোববার দুপুরে আক্রান্তদের আইসোলেশন নিশ্চিত করাসহ করোনা সনাক্ত লোকদের বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আনাস ইবনে মালেক।
[৩] তিনি বলেন, পরিবারটিতে দুই শিশু আক্রান্ত থাকায়, পজিটিভ বয়স্ক দুইজনকে আলাদা আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[৪] উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ এলাকার চন্দন দেব (৪০), তার স্ত্রী করুণা রানী দেব (৩০), তাদের দুই শিশু সন্তান প্রিয় রানী দেব (০৬) ও প্রমি রানী দেব (০৩) এবং চন্দন দেব-এর বড় ভাইয়ের ছেলে প্রবাল চন্দ্র দেব (২১) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
[৫] পরিবারটির কর্তা চন্দন দেব বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমার শ্বাশুড়ি মারা যান। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী, দুই শিশু সন্তান ও ভাইয়ের ছেলেসহ আমি যাই।
[৬] মৃত শ্বাশুড়ির শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শেষে আমরা সবাই সেখানে ক'দিন অবস্থান করি। দুইদিন পর আমরাসহ শ্বশুরবাড়ির কয়েকজনের গলা ব্যাথা, মৃদু জ্বর ও সর্দি-কাশি শুরু হয়। পরে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আমরা সকলেই নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়। শুক্রবার রাতে মোবাইলে ম্যাসেজ আসে আমিসহ আমার পরিবারের দেওয়া পাঁচজনের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ এবং আমার শ্বশুরবাড়ির তিনজন পজিটিভ, মোট আটজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
[৭] তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। আমরা সুস্থ আছি এবং পজিটিভ রিপোর্ট আসা আমার বাচ্চা দুটি বাড়িতে খেলাধুলা করছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ