শাহানজ্জামান টিটু : [২] বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বাজেট প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, দুনিয়া বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে ১ বা ২ শতাংশ। সেখানে কিভাবে ৮% হয়? অর্থমন্ত্রী কোন ভিত্তিতে বলছেন?
[৩] আউয়াল মিন্টু বলেন, আসল কথা হলো এরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নাই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি ফলে এরা যেকোন একটা মিথ্যা নাম্বার দিয়ে স্টেটমেন্ট দিয়ে দিল। যেটা আমাদের গলায় ঝুলে যাচ্ছে। এটা কোন বাজেট না। এটাকে কোনভাবেই বাজেট বলা যাবে না।
[৪] তিনি বলেন, ঘাটতি বাজেট যখন হবে তখন এটাকে পূরণ করার জন্য মানি সাপ্লাই বেড়ে যাবে। একদিকে যদি রেমিটেন্স কমে যায় অন্যদিকে যদি মানি সাপ্লাই বেড়ে যায় তাহলে কিন্তু টাকার উপরে একটা বিরাট প্রেসার আসবে। তখন ডলারের দাম বেড়ে যাবে টাকার দাম কমবে।
[৫] সাবেক ব্যবসায়ী এই নেতা বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির ফান্ডামেন্টাল ইন্ডিকেটরগুলো এরা নষ্ট করে দিয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ধরে রাখার উপায় আমি দেখছি না। ঘাটতি দিন দিন বাড়বে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হবে না এটাই হচ্ছে মূল কথা এবং দেশের দারিদ্র্যের সংখ্যা দিন দিন আরো বেড়ে যাবে।
[৬] তিনি বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। বাজেট প্রস্তাবের ১১২ নম্বর পেজে সেখানে বলা হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দেখানো হয়েছে জিডিপির ৩১ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে। এবার হবে ৮১ শতাংশ। কিন্তু প্রাইভেট সেক্টরের বিনিয়োগ যেখানে ছিল জিডিপির ২৩% এখান থেকে নেমেছে আর সরকারি বিনিয়োগ ৫% থেকে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
[৭] আউয়াল মিন্টু বলেন, সরকার কোথায় বিনিয়োগ করছে। তারা এই বিনিয়োগগুলো করছে বড় বড় মেগা প্রজেক্টগুলোতে। হয়তো ভবিষ্যতে সোশ্যাল ভ্যালু আছে কিন্তু কোন কর্মসংস্থান হবে না। আর এটা যদি না হয় তাহলে মানুষের আয় কমে যাবে। যখনই আয় কমবে তখন ব্যয় কমে যাবে। ফলে জিডিপি যেটা বলা হচ্ছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।হবে। তাহলে কোথা থেকে হবে। যদি বিনিয়োগ ও রপ্তানি কমে যায় তাহলে কোত্থেকে এই প্রবৃদ্ধি হবে?