শাহীন খন্দকার : [২] হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী মোস্তাক হোসেন বলেন, শণাক্তদের সবাই নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। আজ আরো একজন সহকারী সার্জারি ডাক্তারের রির্পোট পজেটিভ এসেছে এবং ডা. আসাদুজ্জামান আইসিইউতে রয়েছেন।
[৩] তিনি জানান, কোভিড-১৯ পজেটিভ ১৫ জন রোগী নিজেদের রোগ গোপন করে। তাদের সার্জারী এবং ক্যামোথেরাপি দিতে গিয়েই পরীক্ষায় ধরা পড়ে তারা পজেটিভ। আর এভাবেই ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। হাসাপাতাল কতৃপক্ষকে সরকারী এবং সাংগঠনিকভাবে যে সব পিপিই দেয়া হয়েছে, তা ব্যাবহার করা হচ্ছে।
[৪] পরিচালক জানান, বর্তমানে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৫০ জন। আর আউটডোরে প্রায় ৫শত রোগী দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদককে তিনি আরো বলেন, এই হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগীদের ভর্তি বা চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে ৬ থেকে ৮ জন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হচ্ছেন। এদের সাথে সাথে কোভিড-১৯ হাসপাতালে প্রেরন করছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
[৫] এদিকে, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদপত্র না পাওয়া পর্যন্ত রোগীদের ক্যামো ও রেডিও থেরাপি দেয়া হচ্ছে না। কারণ ইতোমধ্যে কয়েকজন রোগীও অভিবাবকদের অভিমতের ভিত্তিতে থেরাপি দিতে গিয়ে ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মীর কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়েছে ।
[৬] চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সকলের জীবনের নিরাপত্তায় তথ্য গোপন না করার অনুরোধ জানায় ডা. মোস্তাক। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব