লিহান লিমা: [২] বিজ্ঞানীরা বলছেন, সময় এবং দুরুত্বের কারণে আমরা সম্ভবত কখনোই জানবো না যে তাদের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, কিংবা কখনো ছিলো কি না। সোমবার দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। সিএনএন।
[৩] নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, এই পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের বিকাশ হয়েছিলো সাড়ে চারশ থেকে সাড়ে ৫০০ কোটি বছর আগে। একটি গ্রহতে বুদ্ধিমান জীবন ধারণ করতে হলে তার ধরণ হতে হবে পৃথিবীর মতো। গ্রহের জন্মের পর পার হতে হবে ৫০০ কোটি বছর এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হতে হবে ১০০ বছর ধরে। এসব অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তারা এই ফলাফল পেয়েছেন।
[৪] বর্তমানে আমরা রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে মহাকাশে সংকেত দেই। আমাদের প্রযুক্তি ব্যবস্থা শত বছরের পুরোনো। বাকি ৩৬টি প্রজাতিই এই তরঙ্গ ব্যবহার করে মহাকাশে সংকেত পাঠায়।
[৫] গবেষক দলের প্রধান ও নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের প্রফেসর ক্রিস্টোফার কনসেলিস বলেছেন, মিল্কিওয়ে (ছায়াপথে) অন্তত কয়েক ডজন সভ্যতার অস্তিত্ব রয়েছে। তাদের উপস্থিতি তখনই বোঝা যাবে যদি তারা ক্রমাগত নিয়মিতভাবে রেডিও সিগন্যাল পাঠাতে থাকে।
[৬] গবেষকরা দেখেছেন, এই সম্ভাব্য বুদ্ধিমান প্রজাতিদের থেকে আমাদের গড় দুরুত্ব সম্ভবত ১৭ হাজার আলোকবর্ষ। অর্থাৎ এই গ্রহ থেকে একটি আলোক রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লাগবে ১৭ হাজার বছর। বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে এত দুরুত্বে কোনো সংকেত পাঠানো প্রায় অসম্ভব। বর্তমানে আমাদের যে যোগাযোগ প্রযুক্তি তা ব্যবহার করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে ৫০০ কোটি বর্ষ লেগে যাবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান