রাশিদ রিয়াজ : [২] গবেষকরা নিউইয়র্কে ১৭ এপ্রিল ও ইতালির উত্তরাঞ্চলে ৬ এপ্রিল থেকে ফেসমাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছিলেন। গত ৯ মে পর্যন্ত ৩ সপ্তাহে নিউইয়র্কে ৬৬ ও ইতালিতে ৭৮ হাজার ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন। এসময়ে ওই দুটি স্থানে দিনে কোভিড আক্রান্তের হার ৩ শতাংশ হ্রাস পায়। ডেইলি মেইল
[৩] গবেষকরা বলছেন সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা, হ্যান্ড সানিটাইজার ব্যবহার, ঘরে অবস্থানের চেয়েও মাস্ক ব্যবহার করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
[৪] এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন কোভিড ভাইরাস বাতাস বাহিত বলে মানুষ যখন কথা বলে. হাঁচি-কাশি দেয় তখন ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
[৫] যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সাইন্সের গবেষকদলটি চীন, ইতালি ও নিউইয়র্কে কোভিড মোকাবেলার বিভিন্ন পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করে বলছেন মাস্ক পরা সহজ ও অধিক নিরাপদ। সংক্রমণের মাত্রা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব মাস্ক ব্যবহার করেই।
[৬] টেক্সাসের এ্যাটমোস্ফেরিক সাইন্সের অধ্যাপক ড, রেনিই ঝ্যাং যিনি ওই সমীক্ষার সহ লেখক তিনি বলেন সহজলভ্য মাস্ক ব্যবহার করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া যায়। সামাজিক দূরত্ব ও হাত ধোঁয়া চালিয়ে যেতে হবে কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বরং মাস্ক পরার অভ্যাস গড়ে তুলে কোভিড প্রাদুর্ভাব অনেকখানি হ্রাস করা সম্ভব।